Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার পর থেকে ভোট দেননি কালিকাপুর ইউনিয়নের নারীরা

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নি মাদারীপুর সদরের কালিকাপুর ইউনিয়নের নারীরা। স্বাধীনতার আগে একটি ভোটকেন্দ্রে ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনা। তার জেরে স্থানীয় সমাজপতি ও ইমামদের নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায় নারীদের ভোট দেয়ার অধিকার। সেই থেকে আজও কোন নির্বাচনে নারীরা তাদের ভোট দেয়নি। তবে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগে বদ্ধপরিকর নারীরা। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাও বলছেন নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে তৎপরও তারা।

কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আকন বলেন, আমি মুরুব্বীদের কাছ থেকে শুনেছি যে, ১৯৭১ সালের আগের একটি নির্বাচনে, একটি ভোটকেন্দ্রে মহিলাদের ভোট নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার পর সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মসজিদের ইমামদের সিদ্ধান্তে নারীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে স্বাধীনতার পর থেকে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেননি এই ইউনিয়নের নারীরা।

কথা হয় মাদারীপুর সদরের কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের আকিমন বিবির সাথে। তিনি বলেন, স্বামী আর সমাজপতিদের নিষেধে ৬০ বছরের জীবনে কোনোদিন ভোট দেয়নি। তবে প্রশাসনসহ বিভিন্নমহল থেকে আমাদেরকে ভোট প্রদানে উৎসাহ দেয়া হয়েছ্,ে তাই এবার আশা করি ভোট দিবো। একইভাবে বলেন ওই এলাকার হাসিনা বেগম, খুশি বেগম, সেলিনা আক্তার ও জয়গুন বিবি। তবে, এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে বদ্ধপরিকর কালিকাপুর ইউনিয়নের নারীরা। ফতোয়াবাজি আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বাধা পেরিয়ে যাবেন ভোটকেন্দ্রে। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন, স্থানীয় গণ্যমান্যরাও।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন মাদারীপুরের এই কালিকাপুর ইউনিয়নে ভোটার প্রায় ১৬ হাজার। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী। আমি শুনেছি, কালিকাপুর ইউনিয়নের নারী ভোটাররা স্বাধীনতার পর থেকেই তাদের ভোট প্রয়োগ করেন না। এ ব্যাপারে তাদেরকে ভালোভাবে বোঝানো হয়েছে। তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে রাজী হয়েছে। তাই এবার কালিকাপুর ইউনিয়নের নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আমরা তৎপর রয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ