যারা ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করছে, জনগণকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে, তারা ইয়াহিয়া খানের উত্তরসূরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজ আবার ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জাতির জন্য আত্যান্ত লজ্জাজনক।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল বলেন, ৩০ তারিখ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ এই স্বৈরাচারকে বিদায় করবে। তিনি বলেন, যারা ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করছে, জনগণকে ভয় পেতে দেখাচ্ছে, তারা স্বাধীনতার শত্রু । তারা ইয়াহিয়া খানের উত্তরসূরি।
ড. কামাল বলেন, বাঙালীরা বীরের জাতি। তারা কোন কিছুকে ভয় পায় না। এভাবে যত ভয় ভীতি বাধা দেওয়া হোক তারা সবকিছু উপেক্ষা করে ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রে অবশ্যই যাবে। এবং ভোট প্রদান করবে।
সবাইকে সাকাল সকাল ভোট সেন্টারে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা ফজরের পর পরই ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিজের ভোট দিয়ে সারাদিন ভোট কেন্দ্র পাহারা দিবেন। বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী,
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, প্রফেসর মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর মোস্তাহিদুর রহমান, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী,
সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি আব্দুল কাদের গনি চৌধুরী,
সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন।