পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনীকে দেশের জনগণ বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। তারা কোনো অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না বলে বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১৫ তারিখে মাঠে (সেনাবাহিনী) নামাবার কথা জানিয়ে ছিলাম, তখন তিনি বলেন- না একটু পরে নামবে। আমি তখন বললাম কেন সেনবাহিনী কি পথ-ঘাট চেনে না, তাদের কাছে গুগল ম্যাপ নেই, তারা কি বাংলাদেশের সন্তান নয়, তা যদি হয় তাহলে তো আমাদের স্বাধীনতা নিরাপদ না। এভাবে আপনারা সামরিক বাহিনীকে অপমান করতে পারেন না। তখন তিনি বললেন- ২৪ তারিখে আসবেন। আমি বললাম তাদের কিছু করতে হবে না শুধু টহল দিলেই চলবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় পোস্টার থাকুক আর না থাকুক। জনগণের মার্কাতেই জনগণ ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়। আজকে এটা জাতির মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের ¯েøাগান। তেমনি ধানের শীষ জাতির আকাক্ষার প্রতীক, পরিবর্তনের প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা। জনগণ তাদের মনোস্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদেরকে ভোট দেবে না তারা।
জাফরুল্লাহ বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফ্লেকশন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সা¤প্রতিককালে তিনি প্রতিবার কথা ভঙ্গ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন ইতিহাস রচনা হবে ৩০ ডিসেম্বর। এই দিন শুধু নির্বাচন নয়, আন্দোলনও বটে। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে এই দিন মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।
তিনি বলেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। কিন্তু আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোট দেয়ার মানসিকতা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের চেতনা নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন অন্য কোনো দেশে হয় না, আমাদের দেশে হয়। কারণ প্রসাশনে যারা নিযুক্ত হয়, তারা কেউ মেধায় না। আনুগত্যে নিযুক্ত হয়। তাই তাদের ওপর ভরসা করা যায় না। এ জন্যই সামরিক বাহিনীর মেজরদের আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় যারা আছে তারা চক্রান্ত করছে, তাদের মোকাবেলা করতে হবে। আমি শেখ মুজিবকে পছন্দ করতাম। কিন্তু তার হাত ধরেই গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। বাকশাল না হলে হয়তো এমন হতো না। শেখ হাসিনার অধীনেও উন্নয়ন হয়েছে। তবে তা কিছু লোকের উন্নয়ন হয়েছে। যাদের উন্নয়ন হয়েছে তারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছে। আরাম-আয়েশে থাকার জন্য।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ঈসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।