বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাকা চুরি করার সময় দেখে ফেলায় ইটের আঘাতে খুন করা হয় তোফায়েল আহমেদ রফিককে (৬০)। গৃহকর্মী জয়েস চাকমাই (২৫) তার খুনি। গ্রেফতারের পর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের বর্ণনা দেয় জয়েস। তোফায়েল সরকার দলীয় এমপি এম এ লতিফের স্ত্রীর বড় ভাই। একমাত্র আসামিকে গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্দর থানার ফকিরহাটের পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন রফিক। তিনি চট্টগ্রামের নামকরা ব্যবসায়ী বারিক মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় রফিকের ছেলে সাহেদ আজগর চৌধুরী বাদী হয়ে বন্দর থানায় গৃহকর্মী নয়ন কুমার তনচংগ্যাকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
জয়েসই নয়ন নাম দিয়ে ওই বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নিয়েছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পিআইবির জ্যেষ্ঠ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি এলাকা থেকে জয়েসকে গ্রেফতার করা হয়। জয়েসের কাছ থেকে খুনের শিকার রফিকের বাসা থেকে চুরি করা মোবাইল ফোন সেট, ক্যামেরা ও নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ওই বাসায় রফিক একা থাকতেন। মাস কয়েক আগে গৃহকর্মী চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। বিজ্ঞাপন দেখে ওই বাসায় চাকরির জন্য আবেদন করে জয়েস। তবে এ সময় সে নিজের নাম-ঠিকানা গোপন করে নয়ন কুমার তনচংগ্যা পরিচয় দিয়ে কাজে যোগ দেয়। রফিকের বালিশের নিচে বাসার আলমারির চাবি থাকত।
ঘটনার দিন রফিক ঘুমাতে গেলে জয়েস বালিশের নিচ থেকে আলমারির চাবি নিতে গেলে রফিক জেগে উঠেন। এ সময় সে বালিশ দিয়ে রফিকের মুখ চেপে ধরে। নড়াচড়া বেশি করায় খাটের নিচে থাকা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে জয়েস। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সে নগদ টাকা, মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যায়। জয়েস বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।