লক্ষীপুর-২ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। লোভী, সুযোগসন্ধানী নেতাদের অবৈধ গোপন তৎপরতা, আঁতাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি নিজ দল জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করেছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর-২ রায়পুর আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাপা থেকে তিনি কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও আ. লীগের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি তার দল। যে কারণে মহাজোটের লাঙ্গলের প্রার্থী সংসদ সদস্য নোমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। গত ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে তার এ সিদ্ধান্তের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়।
সংসদ সদস্য নোমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, মহাজোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া এবং লোভী, সুযোগসন্ধানীদের অবৈধ গোপন তৎপরতা ও আঁতাত করা, কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়া ইত্যাদি কারণে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
চিঠিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, যারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাস্তবচিত্র অনুধাবন করে আমার সিদ্ধান্তকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মোহাম্মদ নোমানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সংসদ সদস্য নোমান ছাড়া এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্ধিতায় আছেন ঐক্যফন্টের প্রার্থী জেলা বিএনপি প্রার্থী আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া ধানের শীষ প্রতীক ও আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আপেল প্রতীকের শহিদুল ইসলাম পাপুল।