Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালপুরে মাঠে আ.লীগ আতঙ্কে বিএনপি

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আর মাত্র ০৯ দিন পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকাগুলিতে নিজ নিজ সাধ্য মতো প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই নাটোর-১ আসনের প্রার্থীরাও।
লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-১ আসন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৬৩৫ জন। এই আসন থেকে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হলেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মুনজুরুল ইসলাম বিমল (ধানের শীষ), মহাজোটের প্রার্থী আ.লীগের শহিদুল ইসলাম বকুল (নৌকা), জাতীয় পার্টির আবু তালহা (লাঙ্গল), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির আনছার আলী দুলাল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. খালেকুজ্জামান (হাতপাখা) এবং গণঐক্য মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. মাকসুদুর রহমান (হারিকেন)। এদের মধ্যে প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আ.লীগ। অপর দিকে হুমকি, হামলা, মামলার আতঙ্কে রয়েছেন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। যদিও লালপুর উপজেলা এক সময়ে বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। বর্তমানে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান এমপি আবুল কালাম ও লালপুর থানা আ.লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক মঞ্চে একত্রিত হয়ে নির্বাচনী এলাকা লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নৌকার পক্ষে জনমত গঠন ও ভোটপ্রার্থনা ও প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আ.লীগ এগিয়ে আছে বলে দাবি নেতা কর্মীদের। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের মুনজুরুল ইসলাম বিমলকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনীত করায় প্রথম দিকে থানা বিএনপি মেনে না নেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা দ্বিধাদন্দের মধ্যে পড়ে। তবে দলের স্বার্থে বর্তমানে তৃণমূল বিএনপি ঐক্যফন্টের প্রার্থীকে সমর্থন করে ভোটের মাঠে নামলেও গত ৩ দিনে পুলিশ ও ব্যাবের মামলা-হামলার আতঙ্কে নেতাকমীরা প্রায় ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনায় পতিপক্ষের হামলার অতঙ্কে দিন কাাঁছে বিএনপি নেতা কর্মীদের। তবে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছে সাধারণ ভোটার ও বিএনপি। তারা মনে করছেন নির্বাচনী মাঠে সেনাবহিনী নামলে নির্বাচনী ফিল্ড কিছুটা ভালো হবে।

এব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের তথা ধানের শীষের প্রার্থী মুনজুরুল ইসলাম বিমল ইনকিলাব কে বলেন,‘দলের মধ্যে কোন সমস্য নেই, আমরা সবাই এখন হয়েগেছি। আমাদের বিজয় নিশ্চিত। কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না, তাই পতিপক্ষরা আমাদের প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে উসকানি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ও মোবাইলে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে আটক করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।’

আ.লীগ ও বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টির আবু তালহা (লাঙ্গল), বাংলাদেশের বিপবী ওয়ার্কাস পার্টির আনছার আলী দুলাল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. খালেকুজ্জামান (হাতপাখা) এবং গণ-ঐক্য মনোনীত বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. মাকসুদুর রহমান (হারিকেন) প্রতীকের প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রচারনা। তবে শেষ পর্যন্ত মূল লড়াই নৌকা-ধানের শীষ প্রতীতেই হবে।
এ আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. আলা উদ্দিন বিজয়ী হন। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মান্নান (বিএনপি) নির্বাচিত হন এবং সংসদের হুইপ নিযুক্ত হন।
১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ নির্বাচনে মমতাজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র), ১৯৮৮ সালের ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে নওশের আলী সরকার বাদশা (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হন। আর ৫ম থেকে ৭ম পর্যন্ত বিএনপির ফজলুর রহমান পটল নির্বাচিত হন এবং তিনি ৬ষ্ঠ ও ৭ম সংসদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ