Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্যাস নেই, হাহাকার

রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ চলছে বিভিন্ন এলাকায়

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাদশা : গ্যাস নেই, হাহাকার। নগরজুড়ে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। আবাসন থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা, সিএনজি স্টেশন সর্বক্ষেত্রে সঙ্কটের ছোঁয়া লেগেছে। ঝাড়– নিয়ে গৃহিণীরা রাজপথে নেমে এসেছেন। দাবি একটাই- ‘গ্যাস নাই গ্যাস চাই, পাক করে খেতে চাই’। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল মঙ্গলবার থেকে গ্যাসের সঙ্কট থাকবে না। কিন্তু বাস্তবতার সাথে আশ্বাসের ব্যাপক অমিল। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভোর থেকে গ্যাস ছিল না। বিকেলে কোন এলাকায় গ্যাস মিলছে ঠিকই। তবে প্রেসার ছিল লো। আবার অনেক এলাকায় গ্যাস মিলেছে রাত ৯টার পর। গ্যাস সঙ্কটের কারণে অনেকেই কেরোসিন, কাঠের চুলা, রাইস কুকার ও ইনডাকশন ওভেনে রান্না করছেন।
একেক সময় একেক এলাকার গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেন এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। কেন এমনটি হচ্ছে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলায় পরীক্ষামূলকভাবে রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ চলছে। এতে করে এলাকাভেদে গ্যাস পাওয়ার সময় একেক রকম হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান সম্ভব কীনা? জানতে চাইলে বলেন, সঙ্কট কাটাতে হলে পেট্রোবাংলাকে চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করতে হবে এবং অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলায় আবাসিক খাতে গ্যাস কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে সকল বিতরণ কোম্পানীকে নির্দেশ দিয়েছে।
গ্যাস নিয়ে গ্রাহক ভোগান্তির চরম সীমায় পৌঁছালেও বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কিন্তু তারা কোন ছাড় পাবেন না। উল্লেখ্য, গেল বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে। গ্যাসের মাসিক বিল ২০০ টাকা বৃদ্ধি করায় গ্রাহকরা এখন এক চুলার জন্য ৬০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৬৫০ টাকা প্রদান করেন। যা আগে ছিল এক চুলার জন্য ৪০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৪৫০ টাকা। আর গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার ৫ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়।
আর গাড়িতে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত রূপান্তরিক প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম করা হয় প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা। ক্যাপটিভ পাওয়ারের ক্ষেত্রে দাম দ্বিগুণ করে ৪ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও শিল্পে ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ৬ টাকা ৭৪ পয়সা এবং বাণিজ্যে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
গ্যাসের এই বর্ধিত দাম দেয়ার পরও ভোগান্তি- কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না গ্রাহকরা। বিশেষ করে আবাসিক খাতের গ্রাহকদের ক্ষোভের শেষ নেই। এ নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থানীয় অধিবাসী জয়দেব সরকার জানান, গ্যাস সঙ্কটের কারণে গত ১২৫ দিন ধরে তারা দু’বেলা হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। রাতে গ্যাসের প্রেসার বাড়লে তখন রান্না হয়। তার মতে, এতে করে তার পরিবারের মাসের খরচ বেড়ে গেছে। আবার গ্যাস সরবরাহ ঠিকমত না দিলেও বিল কিন্তু ঠিকই আমাদের দিতে হবে। এই দৈতনীতি চলতে পারে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ইনকিলাবকে বলেছেন, গ্যাস ফুরিয়ে আসছে। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম। কাজেই সঙ্কট তো থাকবেই।
তিনি সঙ্কট মোকাবেলায় আবাসিকখাতে গ্যাস সংযোগ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার কথা জোড়ালোভাবে তুলে ধরেন। তার মতে, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজি’র ব্যবহার বাড়ালে গ্যাসের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে। এক্ষেত্রে এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলপিজি ব্যবহার শুরু হলে চাহিদা মোতাবেক অবশ্যই সরবরাহ করা যাবে।
অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে? জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তার মতে, আবাসিক ও শিল্প খাতে সব খানেই অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বৈধ গ্রাহকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সঙ্কট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতেই শীতে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সমস্যা সাময়িক। এটি উত্তোরণের চেষ্টা চলছে।
ফিলিং স্টেশনগুলোতে দুর্ভোগ
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সিএনজি গ্যাস সংকটের কবলে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলো। নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, গাজীপুরসহ রাজধানীর চারপাশের সিএনজি স্টেশনগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। সিএনজি গ্যাস না পাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন গাড়ি ব্যবহারকারীরা। গতকাল দুপুরে শাহবাগের পরীবাগের শাহজাহান এন্টারপ্রাইজের পদ্মা অয়েল ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাসের পাম্পটি বন্ধ রয়েছে।
দু’টি প্রাইভেট গাড়ি পাম্পের ভেতরের বামপাশে দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। ওই দুটি গাড়ি রাতের বেলায় পাম্পে এসে গ্যাস পায়নি। জানা গেছে, গ্যাস সংকটে গাড়ির চালকেরা গাড়ি দুটিকে পাম্পে রেখে দিয়ে চলে গেছেন। স্টেশনের বিদ্যুতের খুঁটিতে একটি ছোট সাইনবোর্ডে লেখা আছে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেক দিন বিকাল ৫টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। কিন্তু, এই আদেশ বাদেও এখন ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া গেছে।
পদ্মা অয়েলের কর্মচারী মো. হানিফ জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফিলিং স্টেশনে কোনো গ্যাস থাকে না এটা আগে থেকে চলে আসছে। কিন্তু, এখন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সাতদিন ধরে সারাদিন ফিলিং স্টেশনে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। যেসব গাড়ি সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করে ওইসব গাড়িগুলো স্টেশনে আসে। পরে গ্যাস না পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। স্টেশনের মালিকেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। কারণ গ্যাস কমদামে পাওয়ার কারণে পেট্রল, অকটেনের বদলে গাড়ির মালিকেরা গ্যাস ব্যবহার করে থাকে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কাওরান বাজারের এফডিসি রোডের কানাডা বাংলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে জানা যায়, গত সাতদিন ধরে গ্যাস না থাকার কারণে স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম অবস্থা চলছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে পাম্পের ২০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অলস সময় কাটাচ্ছেন।
ঝাড়ু মিছিল, শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত
গ্যাস না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। ‘গ্যাস নাই গ্যাস চাই, পাক করে খেতে চাই’ শ্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে সোমবার সকালে রাস্তায় নেমেছিল। আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্যাস সংকটের সমাধান করে এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। গ্রাহকদের অভিযোগ, বছরের পর বছর গ্যাস সঙ্কটে ভোগান্তির পর মোটা পাইপ লাইন স্থাপন করা হলেও ফের গ্যাস সংকট দেখা দিচ্ছে। দ্রুত তারা এ সমস্যার প্রতিকার চান।
গ্যাস সঙ্কট চলছে যেসব এলাকায়
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, উলুন, রামপুরা, বনশ্রী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ধানমন্ডি, জিগাতলা, মনেশ্বর রোড, কাঁঠালবাগান, ও পুরানো ঢাকার কিছু এলাকায় গ্যাস সংকট সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকার অনেক স্থানে সকালেই গ্যাস উধাও। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। কোথাও বা রাত। এছাড়া পশ্চিম ও পূর্ব দোলাইরপাড়, গোপীবাগ, ফকিরেরপুল, সেগুনবাগিচা, মতিঝিলের কিছু অংশসহ পূর্বাঞ্চলীয় অনেক এলাকায় গ্যাস সংকট চলছে। এতে করে কয়েক হাজার পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ৭টার পর গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। বিকালেও অনেক এলাকায় চুলা জ্বলে না। গ্যাস নিয়ে সঙ্কট চলছে- বাবুরাইল, পাইকপাড়া, নয়াপাড়া, শীতলক্ষ্যা, তামাকপট্টি, নলুয়া, বাবুরাইল দেওভোগ, নিমতলা, সুতারপাড়া, মন্ডলপাড়া, টানবাজার, কালিরবাজার, পালপাড়া, দেওভোগ, কাশিপুর, গলাচিপা, নন্দীপাড়া, গোয়ালপাড়া, কলেজ রোড, জামতলা, ইসদাইর, মাসদাইর, গাবতলী, উত্তর চাষাঢ়া, চাঁদমারী, মিশনপাড়া, আমলাপাড়া, ডনচেম্বার, ব্যাংক কলোনি, খানপুর, পাঠানতলী, হাজীগঞ্জ ছাড়াও গোদনাইল, জালকুড়ি, কাঠেরপুল, কোতালেরবাগ, লাল খাঁ, সেহারচর, পাগলা, পঞ্চবটি ও ভোলাইলে।
পেট্রোবাংলা ও বিতরণ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
তিতাস গ্যাস কোম্পানির পরিচালক (উৎপাদন) মীর মশিউর রহমান সমস্যার বিষয় স্বীকার করে বলেন, শীতে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তার মতে, এক হাজার ৮শ’ থেকে প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সার্বোচ্চ এক হাজার সাড়ে ৪শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি জানান, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো যখন বন্ধ থাকে, তখন স্থানীয় আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সমস্যা হয় না। সিএনজি স্টেশন চালু হলেই আবাসিক খাতে গ্যাসের প্রেসার কমে যায়। এছাড়াও শীতে গ্যাস জমে যাওয়ার ঘটনাতো রয়েছেই। তার মতে, সঞ্চালন লাইন পরিষ্কার করা গেলেও সরবরাহ লাইন পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ পাইপলাইন পরিষ্কার করারও কোনো ব্যবস্থা নেই। পাইপলাইন পরিষ্কার করা গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতো। তিনি বলেন, বলেন, সরবরাহ পাইপলাইন বসানোর সময় এলাকার একটি হিসাব অনুযায়ী পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু যত্রতত্র অবৈধ সংযোগের কারণে সরবরাহ লাইন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
আর গ্যাসের অবৈধ সঙ্কট প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলা জানায়, বর্তমানে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব গ্রাহকরা অবৈধভাবে শিল্প ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে এবং ব্যবহারও করছে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোর অভিমত হচ্ছে, গ্যাস অ্যাক্ট থাকলেও তা কাজে আসছে না। স্থায়ীভাবে তাদের সংস্থায় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় এ সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের কাছে বার বার চিঠি লেখার পরেও সাড়া মিলছে না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনেক সময় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাওয়া যায় না। হুমকির মুখে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই কোনো কোনো সময় টাস্কফোর্সকে অভিযান গুঁটিয়ে ফিরে আসতে হয়।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাসিকসংযোগ রয়েছে- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। সেখানে মোট বৈধ আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এরপর কর্ণফুলী এবং বাখরাবাদ কোম্পানির অবস্থান। স্বাভাবিকভাবে তিতাস, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদেই অবৈধ সংযোগের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে কোন কোন এলাকায় কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্যাস নেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ