পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে শাসকগোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের বসত বাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উচিত-অনুচিতের এথিক্সের ধার ধারে না। মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে হলেও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে পারে। ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তরিক প্রীতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিতেও সরকার বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে না। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিষ্টান দেবালয়ে আক্রমণ হয়েছে, সহায়-সম্পত্তি লুট হয়েছে, যাজক-পুরোহিত খুন হয়েছে। ইতোপূর্বে সরকারী মদদে এধরণের সহিংসতার নজীর আমরা দেখেছি। এরা উইপোকা’র মতো রাষ্ট্র-সমাজের দৃঢ় বন্ধনকে ভিতর থেকে খেয়ে ফেলছে। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে নাপিতবাড়ির (বাবু ডাক্তার বাড়ি) শিশির শীল ও মনিন্দ্র শীলের দুটি টিনের পাকা বসত ঘর ও দুটি পাক ঘর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্পূর্ণভাবে আগুন লাগিয়ে ভস্মিভূত করে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোনাগাজী থানা পুলিশ আলাউদ্দিন বাবুলকে (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী) আটক করে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে। স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভারতীয় হাই কমিশনার ফেনী জেলার এসপি-কে টেলিফোনে ঘটনাটি অবহিত করেছেন বলে জানা যায়। রিজভী শিশির শীল ও মনিন্দ্র শীলের বসতবাটি আগুন লাগিয়ে ভস্মিভূত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, এধরণের ঘটনায় জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ক্ষমতাসীনরা সোনাগাজী উপজেলার আলামপুর গ্রামের নাপিত বাড়ির অমানবিক ঘটনার ন্যায় দেশব্যাপী এধরণের ঘটনা আরও ঘটাতে পারে এবং সেটি বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ওপর দায় চাপাতে পারে।
রিজভী বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বাতাবরণ তৈরী করে তার দায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ওপর চাপিয়ে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ের জন্য সরকারের মিথ্যাচারের প্রচার মেশিনগুলোকে কাজে লাগানো হবে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে ধর্মীয় সম্প্রদায়, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীকে অন্তর্ঘাত-নাশকতা এবং যেকোন উস্কানির মুখে সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।