বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : শেরপুরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার দলীয় হুইপ আতিককে। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে হুইপকে প্রটোকল দেওয়ায় সদর থানার ওসি মাজহারুল ইসলামকেও প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে আগামীকাল ৭ মে শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতীর ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থীর সাথে বিদ্রোহী ও অন্য প্রার্থীদের সংঘর্ষ এবং আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিকের নির্বাচনী এলাকা সফরকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার গাজীর খামার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও জাসদ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ঘটনার খবর টিভি ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিককে নির্বাচনের আগেই এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সকালে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং হুইপের শেরপুর অফিসে চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনও শেরপুর জেলা শহরেই অবস্থান করছিলেন। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনার দিন নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে প্রটোকল দেয়া ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলামকে প্রত্যাহর করে তদস্থলে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে ওসি মাযহারুল ইসলাম কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এদিকে ওসি মাযহারুল ইসলাম চলে যাওয়ায় তার স্থলে ডিবি পুলিশের ওসি মো: নজরুল ইসলামকে শেরপুর সদর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সরকারী দল আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।