বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর উত্তর বাসাবোয় আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুঁপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিম মালিবাগে পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জের ধরে মামুনুর রশিদ (২৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে বাসার পাঁচ তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আল মাহমুদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার বা হত্যাকান্ডের কারন সম্পর্কে এখন অবহিত নয় পুলিশ। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বাসাবো এলাকার একটি বাসা থেকে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৩)এর লাশ উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে। সবুজবাগ থানার এসআই শ্রীনিবাস জানান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বার উপজেলায়। তিনি ব্যাংকের টাকা লেনদেনের ব্যবসারে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উত্তর বাসাবো এলাকার ওই বাসার ছয় তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। কয়েক দিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। ফেরার পর বাসায় একাই ছিলেন। সে অবস্থাতেই খুন হন তিনি। রাতে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি আরো জানান, টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কাঁচি দিয়ে বুকে আঘাত করে কেউ তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মালিবাগে পাওনা নিয়ে বিবাদের জের ধরে মামুনুর রশিদ (২৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে বাসার পাঁচ তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পশ্চিম মালিবাগের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে ৮/এ নম্বর জিএম প্লাজার পাঁচ তলার সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় রশিদকে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি পশ্চিম মালিবাগের ওই বাসার পাঁচ তলায় স্ত্রী রুবিনা ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। নিজের সেই বাসায়ই ক্রেস্টসহ এ জাতীয় সামগ্রী বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন।
রশিদের বড়ভাই মোর্তুজা আলী রনি অভিযোগ করেন, রশিদ বাসায়ই ব্যবসা করতেন। আর তার নিজের (রনি) ইট-বালুর ব্যবসা আছে এবং গুলশানে শোরুমও আছে। এই ব্যবসার সুবাদে ব্যবসায়ী ফরহাদ, আসাদ, ফরিদ, সুমন ও তাজুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ব্যবসায়িক লেনদেনও হয়। কিন্তু এ লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তারই জেরেই শুক্রবার তারা বাসায় ঢুকে রনিকে মারধর করতে শুরু করেন। মারধর করতে থাকেন তার ছোটভাই রশিদকেও। এক পর্যায়ে পাঁচ তলার সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে রশিদকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন রনি।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।