Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ নয় ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বী যেন পুলিশ -বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:১১ পিএম | আপডেট : ৬:১৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এবারের নির্বাচনে
ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, মনে হচ্ছে
আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে যারা
আছেন তারা। আক্রমণের পর আক্রমণ যা খুশি তাই করা হচ্ছে। সরকার দলীয় এমপি,
মন্ত্রী ও প্রার্থীদের পুলিশ ঠিকই নিরাপত্তা দিচ্ছেন, প্রটোকল দিচ্ছেন আর
আমাদের প্রার্থীদের ধরছেন, পেটাচ্ছেন ও গ্রেফতার করছেন।
আজ  বৃহস্পতিবার সোয়া ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে চিঠি
নিয়ে আসেন জাতীয়বাদী দল ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আসেন বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও ভাইস
চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
 
 
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষার পর চিঠি না নেয়ায় ফিরে যাবার কালে
সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
 
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল তথা
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। সাবেক মন্ত্রী ও সরকারের সাবেক
উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাসহ এখানে এসেছি।
 
২৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে আমাদের ডেস্ক থেকে নেয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হলো।
আমরা এখানে প্রতিকার চেয়ে এসেছিলাম। আমাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। এর
মধ্যদিয়ে আজ এটা স্পষ্ট হলো যে, আমাদের সাথে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে।
 
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক গাজীপুরের প্রার্থী ফজলুল হক মিলন, কিছুক্ষণ
আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রচারণা চলাকালে। উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের
পক্ষে একটি নির্বাচনী প্রচারণা সভা ছিল। যেখানে আ স ম আব্দুর রব ও
মাহমুদুর রহমান মান্না যাচ্ছিলেন। সেখানে মঞ্চ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।
 
প্রচারণায় হামলা দেশের কম বেশি সবখানেই হচ্ছে উল্লেখ করে আলাল বলেন,
ঢাকা-১, নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-১১, মাগুরা-১,
কুষ্টিয়া-৩, মাগুরা-১, মাগুরা-২, টাঙ্গাইল-৭, ফরিদপুর-২ ঢাকা-২,
সিরাজগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-২, পটুয়াখালী-১, মৌলভীবাজার -৩, বি.বাড়িয়া-২ ও ৩,
নেত্রকোনা-৩, মানিকগঞ্জ-১ ও ৩, চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২ এবং রাজশাহী-৪ ও ৬
আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আমাদের বিএনপি
ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করেছে। প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে,
নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও সভা পণ্ড করে দিয়েছে।
 
ঢাকায় আমাদের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার
বিষয়টি সাংবাদিকরা দেখেছেন। আমাদের নির্বাচনী সভাগুলো পণ্ড করা হচ্ছে। আর
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাঁড়িয়ে দেখছেন।
 
তিনি বলেন, অনেগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। একবার বন্ধের
আদেশ আরেকবার খোলার আদেশ, আবার বন্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। এইসব পোর্টালের
মধ্যে বিএনপি’র বিএনপিবাংলাদেশডটকম (bnpbangladesh.com) নামে ওয়েবসাইটও
বন্ধ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটি খুলে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলে
দেবার জন্য বলা হয়েছে।
 
আলাল বলেন, আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করছি। জোটবদ্ধ নির্বাচন করার কারণে
আমাদের দলীয় নেত্রী গণপ্রতিনিধিত্ব ৭২ এর ২০ এর (১) ধারা অনুযায়ী জোটবদ্ধ
দল হিসেবে নিজেদের পোস্টারে দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করার কথা বলেছি।
যাতে করে বিএনপি’র বাইরের দলগুলোর পোস্টারেও খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার
করতে পারেন। কোনো সমস্যা না হয়।
 
আলাল বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি ফলদায়ক হচ্ছে
না। আমাদের পেটানোর জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই দেখছি। সংলাপেও এসব
বলা হয়েছে। কিন্তু তা দেখছি না। আমাদের দাবি ছিল ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা
দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা। প্রথমে বলা হলো ১৫ ডিসেম্বর, আবার বলা হলো
২৪ তারিখ। তা স্থির নয়। এখন বলা হচ্ছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন
করা হবে। আমরা বার বার বলেছি ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে
পারেন। মাঠে থাকার ও ভোট করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা সময় যতো গড়াচ্ছে
কঠিন হয়ে পড়ছে। এ জন্য সেনা মোতায়েন দরকার।


 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৯ এএম says : 0
    এখানে একটা বিষয় বিএনপি নজরে নিতেই চায়না সেটা হচ্ছে ’৭২ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত ও ২০১৮ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত। আমরা দেখেছি ’৭২ সালে পাকিদের দোসরদেরকে সাধারন ক্ষমা করার কারনে কিভাবে দেশটা আবার পাকিদের খপ্পরে পরে একটা ভিক্ষুকের দেশ, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ, দুর্নীতিবাজদের দেশ, পাকিদের রেখে যাওয়া আমলারা সাধারন ক্ষমা পেয়ে জনগণের চাকর থেকে জনগণের মালিক হয়েছিল একই কারনে সেটা হচ্ছে ’৭২ সালের ‘সাধারন ক্ষমা’। এখন বিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী কওমি জননী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশে আইন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশদ্রোহীদের চিহ্নিত করেছেন এবং বিচারের মাধ্যমে ফাঁসী দিয়েছেন, এবং এখন যারা এদের তলপিবাহক বেঁচে আছে তাদেরকে অপশক্তি ঘোষনা দিয়ে এদেরকে যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে এই আইন করে দিয়েছেন বিজ্ঞ নেত্রী হাসিনা। কাজেই এখন এসব অপশক্তি বিএনপির প্রতিনিধি হউক, ঐক্যজোটের প্রতিনিধি হউক বা কামাল, রব, মান্নাই হউক কেহই রেহাই পাবেনা এটাই মহা সত্য। এসব অপশক্তিদেরকে কোনভাবেই দেশের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেনা কারন এরাই দেশের শত্রু দেশদ্রোহী প্রমাণিত ও সাজা প্রাপ্ত। এদেরকে প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি ক্ষত্রে প্রতিহত করাই হচ্ছে আইন। এদের সাথে এদের লোকজন যারা চিহ্নিত হবার ভয়ে অন্ধকারে পালিয়ে আছে তারও যাতে নির্বাচনের সুযোগ পেয়ে অন্ধকার থেকে বের হয়ে দেশদ্রোহীদের ভোট না দেয় সেদিকেও আইনের লোকদের মানে পুলিশ, র্যা ব সহ সকল আইন প্রয়োগকারি দলকে সজাগ থেকে এদেরকে দেখা মাত্রই প্রতিহত করবে এটাই এখনকার আইন। প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বাষ্ট্রপতির নির্দেশের পর আর কোন আইন হতেই পারেনা, এনারা দুজনই বিভিন্ন সভায় প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন অপশক্তিকে কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেনা। কাজেই পুলিশ বাহিনী এদেরকে প্রতিহত করবে এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশকে ’৭১ সালের মত করে পাকিদের দোসরদের হাত থেকে মুক্তি করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ