পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে সরকারি দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা সন্ত্রাসের পথ বেচেঁ নিয়ে ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের রামুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাহা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
এ হামলায় অন্তত ৩৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে এবং বিএনপির নির্বাচনী অফিসের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আহত নেতাকর্মীদের রামুসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী অফিসে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে এই হামলা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল বিগত তিনদিন ধরে রামুর বিভিন্নস্থানে হামলার চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল নিজেই বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, রামুর খুনিয়াপালং, মিঠাছড়িতে বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে হামলা এবং ফতেখাঁরকুল নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষে নেতাকর্মীরা অফিসে বসলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারেরা। হামলার সময় আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার নিদের্শেই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটে লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেন।
বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল বলেনঃ , হামলায় বিএনপি নেতা মেরাজ আহমদ মাহিন, টিপু সুলতানসহ আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় অফিসের সামনে থাকা ৭টি মোটরসাইকেল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুর করেছে অফিসও।
শহরের শহিদ সরণীস্থ দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ভোট করতে মাঠে যাচ্ছেন না। ভোট ছিঁড়ে এমপি হতে চাচ্ছেন। চেয়ারম্যান ইউনুস ভুট্টো, আবদুল মাবুদসহ চিহ্নিত কিছু লোক প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। মাঠেই থাকবো। কোন ধরণের ভয়ভীতি পরোয়া করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে।
কাজল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি নষ্ট করছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল নিজেই। আমরা শক্ত মনোবল নিয়ে মাঠে নেমেছি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠেই থাকব। ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরব। পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল।
তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ধানের শীষের প্রচারণাকালে উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনচারুল হককে মারধর করে উল্টো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ধারাবাহিক হামলা মামলা শুরু করেছে। আমাদের জানা মতে এ পর্যন্ত রামুতে তিনটি মামলা হয়েছে। আরো কিছু মামলা করার পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে।
কাজল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামতে নিজেরা দোকানে, গাড়িতে আগুন দিয়ে উল্টো মামলা করা হচ্ছে। আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরানোর অপচেষ্টা করছে। এরপরও আমরা শান্ত আছি। ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি।
বলেন, পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তো নিচ্ছেই না, উল্টো হামলায় আক্রান্ত আহতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। গত কয়েকদিনে রামু থানায় চারটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, বিএনপির গণজোয়ার দেখে সরকারি দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা জন রায়ে ভীত হয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা না চালাতে নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোঃ আলী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম, গিয়াস উদ্দিন জিকু, আমির আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপনসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।