Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২২২ টি আসনে জিতবে আ’লীগ : আশাবাদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৮ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট বিপুল ভোটে জিতবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৬৮ থেকে ২২২টিতেই জয় পাবেন বলে আশা তার।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জয় জানান, চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত তারা একটি জাতীয় জনমত জরিপ করান। এই জরিপকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জরিপ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নিরপেক্ষ গবেষণা সংগঠন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) এই জরিপটি পরিচালনা করে।
জরিপে ৫১টি নির্বাচনি আসনের ৫১,০০০ নিবন্ধিত ভোটারের সঙ্গে কথা বলা হয়।

জয় বলেন, ‘অর্থাৎ প্রতি আসনে অন্তত ১,০০০ ভোটারের সাথে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সকল নির্বাচনের ফলাফল আমলে নিয়েই এই ৫১টি আসন আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে বেছে নিয়েছিলাম। এই আসনগুলোতে আমরা সবচেয়ে বেশি ভিন্ন ভিন্ন দলের জন্য ভোট দেয়ার প্রবণতা দেখতে পাই বা সাধারণত জয়ের পার্থক্য সবচেয়ে কম থাকে। অর্থাৎ, এই আসনগুলো নিয়েই আমাদের দল সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিল।’

জয় লিখেছেন ‘যেহেতু জরিপটি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার আগে করা হয়েছিল, সেহেতু আমরা প্রার্থীদের ব্যাপারে জনমত জানতে পারিনি। কিন্তু দলগতভাবে, ৫১টি আসনেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। ১২.২ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জয়পুরহাট-১ আসনে আর ৭৫ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা বরিশাল-৪ আসনে। যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাদের সবচেয়ে কম সংখ্যা দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইল-৩ আসনে, ২.৫ শতাংশ। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাথে নিকটবর্তী দলের ব্যবধান ৪১.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ১৯.৮ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সিদ্ধান্তহীনদের সংখ্যা সাতক্ষীরা-৩ আসনে, যেখানেও আওয়ামী লীগের জয়লাভের ব্যবধান ৬৪.৭ শতাংশ।’
জয় আরো বলেন, ‘গড়ে আওয়ামী লীগের জন্য সমর্থন ৬৬ শতাংশ মানুষের, বিএনপির জন্য ১৯.৯ শতাংশ আর ৮.৬ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। যারা সিদ্ধান্ত নেননি তাদের থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনের ব্যবধান অনেক বেশি। আরো গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে কোনো আসনেই আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের এর মধ্যে নেই। শুধু দুইটি আসনেই আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ২৮টি তে, অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি জরিপকৃত আসনে, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ৫০ শতাংশের বেশি। সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের এর বেশি হলেই দ্বিতীয় দলটির জন্য তা পার করা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যায়, আর ২০ শতাংশ এর বেশি পার্থক্য থাকলে একাধিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দ্বারাও তা টপকানো সম্ভব হয় না।’
জরিপের ফলাফল বয়স ও লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে বের করা হয়েছে, তাই মোট ফলাফল সর্বক্ষেত্রে শতভাগ নয়। আসন অনুযায়ী ‘মার্জিন অফ এরর’ ৩ শতাংশ এবং আস্থা স্তর বা কনফিডেন্স লেবেল ৯৫%। সম্পূর্ণ ৫১,০০০ স্যাম্পল এর ‘মার্জিন অফ এরর’ ০ শতাংশ এবং আস্থা স্তর বা কনফিডেন্স লেবেল ৯৫%।

সবশেষে জয় বলেন, ‘এই জরিপগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং ১৯৯১-২০০৮ এর নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর আমার বিশ্বাস যে, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৬৮ থেকে ২২২ টি আসনে জয়লাভ করবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও বেশি ব্যবধানে এবার আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে।’



 

Show all comments
  • bodiur ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৯ পিএম says : 0
    Your wiil get 29 seat al over in Bangladesh, and guaranteed
    Total Reply(0) Reply
  • রুবেল ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ পিএম says : 0
    জয় সাহেব বাকি ৭৮ আসন কাকে কাকে,দিবেন আগেই ঘোষণা করে দেন নির্বাচনের আর কি দরকার দেশের অর্থ নস্ট করার দরকার নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫০ পিএম says : 0
    এবার জিতবে ০০০ টিতে। কারচুপি করা কঠিন হইবে। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply
  • sm mozibur ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৬ পিএম says : 0
    ভুল বুঝিবেন না ঐক্যফন্ড বলতে গিয়ে আঃলীগের বলে ফেলছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ