একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের
আপনারা সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। মূলত সাংবিধানিক
দায়িত্ব ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আজ থেকেই নির্বাচনী ডামাঢোল শুরু হয়ে গেল।
বাকিটা মাঠে আপনাদের দায়িত্ব। আপনি স্বাধীন, আপনি নিরপেক্ষ, আপনি বিচারক,
বিচারকের মাইন্ড আপনাকে অ্যাপ্লাই করতে হবে।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। প্রথম ধাপের ব্রিফিংয়ে
আজ ২১৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নিয়েছেন। তিন ধাপে মোট ৬৪০ জন
জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফ করবে কমিশন। ভোটগ্রহণের আগের দিন,
ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত
থাকবেন তারা।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করবেন, সেটি আপনি আপনার মেধা,
প্রজ্ঞা দিয়ে বিবেচনা করবেন। সংবিধান, জাতি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের
কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনেরর জন্য কমিশন দায়বদ্ধ। এসময় তিনি আস্থা
অর্জনের জন্য নিরপেক্ষভাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালনের
নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, ছয়শ জনের বেশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৯ ডিসেম্বর থেকে
১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন। বৈষম্যের উর্ধ্বে থেকে রাগ অনুরাগ প্রশ্রয় না
দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় আস্থার একটি
পরিবেশ। সিইসি বলেন, কোন দল বা পক্ষের নয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়
কমিশন। মেধা প্রজ্ঞার সাথে ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালনের আহবান জানান
সিইসি।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সরব উপস্থিতি চায় কমিশন। কেউ শিথিলতা ও
পক্ষপাতিত্ব করলে ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে
তালুকদার বলেন, এবারের নির্বাচনে একটাই স্বপ্ন, কোন প্রার্থী যেন ভোটের
মাধ্যমে নিজের জয় নিশ্চিত না করে জাতীয় সংসদে আসতে না পারে। এসময়
কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকলে, নির্বাচনের
মাধ্যমে হলুদ গণতন্ত্র আসে। ভোটাররা ভোট দিয়ে যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে
পারে, এমন পরিবেশ তৈরী করতে সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি। ব্রিফিংয়ে আরো
উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।