Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-১: মর্যাদার আসনে দুই জোটেই নতুনের লড়াই

ফয়সাল আমীন / মিসবাহ উদ্দীন আহমদ | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩১ পিএম

দেশের সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে মর্যাদার আসনের তকমা লাগানো সিলেট-১ আসনের গায়ে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যতোটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে এর সবগুলোতেই সিলেট-১ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন সেই দলই বসেছে রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারাই গঠন করেছেন সরকার।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্টডাউন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর মাত্র ২০ দিন বাকি আছে সংসদ নির্বাচনের। এবারের নির্বাচনে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ থাকায় এটি ইতোমধ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

এবারের নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ আসনখ্যাত সিলেট-১ থেকে প্রধান দুইটি জোট থেকে প্রার্থী দেয়া হয়েছে দুই নতুন মুখকে। দু‘জনই প্রায়ই সমসাময়িক সময়ে রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করেছেন। আওয়ামী লীগ থেকে সিলেট-১ আসনে ভোটযুদ্ধে আছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিএনপি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন জুটেছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের। এই দুই জনই সিলেটের নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন মুখ। এর মধ্যে ড. মোমেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আপন ছোটভাই। আর খন্দকার মুক্তাদির সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল মালিকের ছেলে। দুজনই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন তিনি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে দেশের বাইরে ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বছর কয়েক আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন ড. মোমেন।

দলীয় কোনো পদ-পদবী না থাকলেও বড় ভাই আবুল মাল আব্দুল মুহিত নির্বাচনি রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ায় কপাল খুলে যায় ড. মোমেনের, পেয়ে যান আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ দলের মনোনয়ন। এক্ষেত্রে তাঁর ভাইয়ের মতামতও আওয়ামী লীগের হাইকমা- গ্রহণ করেছে বলে অনেকেরই অভিমত।

সিলেট-১ আসনে ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন খন্দকার আব্দুল মালিক। প্রয়াত এই নেতার ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এবার এ আসনে বিএনপির কান্ডারি। খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ব্যবসায়ী হলেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা হয় তাঁর।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই ৪৭ বছরের বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে, ১৯৭৩ সালে সিলেট-১ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আব্দুল হাকিম চৌধুরী। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির সৈয়দ রফিকুল হক, ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে খন্দকার আব্দুল মালিক, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সাইফুর রহমান, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে আবুল মাল আব্দুল মুহিত নির্বাচিত হন।



 

Show all comments
  • Md. Harunur Rashid ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৬ পিএম says : 0
    gd
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ