Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় শিবিরের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখাকে ন্যায়ভ্রষ্ট উল্লেখ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় নির্ধারিত ছকে প্রহসনের রায় দিয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল। রাজনৈতিক এই রায় ন্যায় বিচারের ইতিহাসকে করেছিল কলঙ্কিত। ট্রাইব্যুনাল কোন ন্যায় ও নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নয় বরং সরকারের ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্ব শূন্য করার নীল নকশারই অংশ হিসেবে এই রায় দিয়েছিল। জনগণ আশা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানেও জাতিকে অবিচারের নমুনা দেখতে হলো। এই রায়ে ন্যায় বিচারের প্রতিফলন হয়নি বলে মনে করে জনগণ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে মামলা এবং সাক্ষী ছিল সাজানো যা সরকার পক্ষের অন্যতম সাক্ষী নান্নু মিয়ার গোপন ভিডিও প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। অন্যদিকে তার জন্মস্থান পাবনার একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ ৩ জন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সঙ্গে তার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। ট্রাইব্যুনাল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষ্যকে কোন মূল্যায়ন না করে আত্মস্বীকৃত ভাড়াটে সাক্ষীদের মিথ্যাচারকে গ্রহণ করে। তাছাড়া ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘মাওলানা নিজামীর গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেয়া ঠিক হয়নি, রায়ে জনমতের ইচ্ছার প্রকাশ পেয়েছে’ যা সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতিফলন। এমন বক্তব্য কোন নিরপেক্ষ বিচারপতি বা ট্রাইব্যুনাল দিতে পারেনা। অন্য দিকে ২০১৩ সালে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিশরে গিয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করে বক্তব্য রাখেন। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতারা নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে মর্মে দফায় দফায় ঘোষণা দেন। সরকার সরাসরি এ বিচার কাজে হস্তক্ষেপ করেছে যা স্কাইপি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। সুতরাং এ রায় যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের সাজানো ছকে দেয়া হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ন্যায় বিচারের ইতিহাসে কলঙ্ক লেপনকারী এই রায় বহাল রাখা ন্যায় বিচার হতে পারে বলে মানুষ মনে করেনা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে বার বার ন্যায় বিচার থেকে একজন নিরপরাধ মানুষকে বঞ্চিত করা চরম অমনাবিকতা। ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ জায়গা থেকেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়া জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়। যা জনগণকে বিচার বিভাগের উপর আস্থাহীন করে তুলবে। সরকারকে এ অপরাজনীতি ও বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে নিরপরাধ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ