বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের বিধান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে জাতীয় সংসদে ফিরিয়ে নেওয়ার বিধান-সংবলিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে এ রায় দেওয়া হয়।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
সংবিধানে এই সংশোধনী যুক্ত হওয়ার ফলে মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে; এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন।
রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রীপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এই রুলের ওপর ২০১৫ সালের ২১ মে শুনানি শুরু হয়। ওই দিন আদালত মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে জ্যেষ্ঠ পাঁচ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
এ-সংক্রান্ত মামলার রায়ের মাত্র ১০ দিন আগেই (২৫ এপ্রিল) ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইনের খসড়াটি মন্ত্রীসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সংবিধানের ৯৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সিদ্ধান্তক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা অপসারণ করা যাবে।
তবে ৯৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। মূলত সংবিধানের এই বিধান কার্যকর করতেই বিচারকদের অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের বিষয়টি তদন্তের জন্য ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।