Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রসুন চাষে ব্যস্ত কৃষক

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

গত মৌসুমে দাম কম থাকায় ব্যাপক আর্থিক লোকসান স্বত্তে¡ও নাটোরের বড়াইগ্রামের চাষীরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা চাষে, বিনা হালে রসুন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এবার ন্যায্য দাম পেলে গতবারের লোকসান পুষিয়ে ওঠা যাবে এ আশায় কৃষক বর্তমানে উপজেলার মাঠে মাঠে স্ত্রী-পুত্রদের সাথে নিয়ে রসুনচাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরীজীবী, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানদারসহ এলাকার সব শ্রেণীপেশার মানুষ এখন নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে অথবা বন্ধ রেখে রসুন চাষ করে চলেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ১০ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে প্রতি মণ রসুন মাত্র ৫শ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচই ওঠেনি। তারপরও বীজের দাম কম থাকাসহ অনেকের ঘরেই বীজ থাকায় এ বছরও চাষীরা ব্যাপক হারে রসুন আবাদে ঝুঁকেছেন।

রয়না গ্রামের রসুনচাষী আবু বকর মন্ডল জানান, গত মৌসুমে দাম না থাকায় রসুনচাষে আমাদের ব্যাপক লোকসান হয়েছে। তারপরও মনে আশা নিয়ে রসুন চাষ করছি। তাছাড়া ঘরেই রসুন বীজ আছে। তাই চার বিঘা জমিতে রসুনচাষ করে রাখছি। যদি দামটা একটু বাড়ে তাহলে গতবারের লোকসানটা পুষিয়ে যাবে এ আশায় রসুন বুনছি, বাঁকিটা ভাগ্য। কৃষকরা জানান, বিনা হালে রসুনচাষে জমি চাষের প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণত কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে বর্ষার পানি নেমে গেলে নরম জমিতে বিনা চাষে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। এ পদ্ধতিতে আগাছাও কম জন্মে এবং সারের ব্যবহারও কম করতে হয়। এছাড়া ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, রোগবালাই দমন ও অন্যান্য পরিচর্যা স্বাভাবিক রসুনের মতই। এ পদ্ধতিতে রসুনের ফলন বেশি হয়। প্রতি বিঘা জমিতে রসুনের ফলন হয় ২০-২৫ মণ।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কুদরত ই খুদা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি পটাশ ও ১৫ কেজি জিপসাম ছিটানোর দুই-একদিনের মধ্যে নরম জমিতে সারিবদ্ধভাবে রসুন বীজ রোপণ করতে হয়। রোপণের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে ২ মণ রসুনের প্রয়োজন হয়। জমিতে রসুন রোপণের দিনই খড় বা বিচালী দিয়ে জমি ঢেকে দিতে হয়। বীজ রোপণের একমাস পরে পানি সেচ দিয়ে বিঘায় ১০ কেজি হারে ইউরিয়া ও ৫ কেজি হারে এমওপি ছিটিয়ে দিলে ফলন ভালো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ বলেন, দোঁ-আশ ও এঁটেল দোঁ-আশ মাটি রসুন চাষের উপযোগী হওয়ায় এ উপজেলায় সর্বাধিক জমিতে রসুন চাষ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ