বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে গতকাল শুক্রবার ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ৪টি ভিন্ন ভিন্ন জালিয়াত চক্রের সহায়তায় জালিয়াতির চেষ্টা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে শেরেবাংলা নগর ও মোহম্মদপুর থানায় সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলের হামিদুর রহমানের ছেলে মো. ইকবাল মাহাবুব (রোল নং ১২১৫৯)। তাকে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক মোছা. রাশিদা আক্তার রজনী (রোল নং ২১১৯৯) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মো. রবিউল ইসলামের মেয়ে। রাজধানীর তালতলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি কেন্দ্র থেকে আটক জয় পাল (রোল নম্বর ১৩৫৪৭) রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার জিতেন পালের ছেলে। শেকৃবি’র ড. ওয়াজেদ মিঞা কেন্দ্রীয় গবেষণাগার কেন্দ্র থেকে ঢাকার মাতুয়াইলের মাহিম খানকে (রোল নং ৪১৭৪৬) আটক করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেকৃবির জালিয়াত চক্র জড়িত। তাদের মধ্যে আটক মাহিম খানকে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সরবরাহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম অর্ণব। এজন্য তারা ৪ লাখ টাকার চুক্তি করে। ইকবাল মাহবুবকে বুটেক্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কাজল চৌধুরী আড়াই লাখ টাকার চুক্তিতে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সরবরাহ করে। জয় পাল জালিয়াত চক্রের সাথে যুক্ত হয় বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেওয়াজের মাধ্যমে। তাকে ডিভাইস সরবরাহ করে শেকৃবির জালিয়াত চক্র। তবে কে ডিভাইস সরবরাহ করেছে তা বলতে নারাজ জয় পাল। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, শেকৃবির কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী তাকে জালিয়াতিতে সহায়তা করেছে। ঐ শিক্ষার্থী শেকৃবির ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। এসব যন্ত্রের সহায়তায় জালিয়াতকারীদের সনাক্ত করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকরা জানতে পারেন, ৪টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম যাওয়ার আগেই সার্চ না করেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কেন্দ্রগুলো হলো মোহম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি ও মোহম্মদপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে মোহম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে সার্চ না করেই ৬শ’ থেকে ৭শ’ পরীক্ষার্থী প্রবেশ করানো হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কেন্দ্র মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে কাজ করেনি। এ বিষয়ে ঐ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের দ্রুত কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।