পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ৮ ডিসেম্বর। ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিস্থিতি পুরোটাই চলে গিয়েছিল দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিক‚লে। প্রচন্ড চাপের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তাদের জয়লাভের আশা বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এ এদিকে বিজয়ের অভিযাত্রায় নানা দিক থেকে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী এগিয়ে আসতে থাকে। তাদের লক্ষ্য রাজধানী ঢাকা। বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তাদের কোনো কোনো দল চেষ্টা করছিল ঢাকার দিকে ফেরার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। কোথাও তারা পরাজিত বা নিরুপায় হয়ে আত্মসমর্পণ করে। মোটকথা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধে জয়লাভের সব আশা ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে যায়। মেজর সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লিখেছেন, ‘৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছিল নিয়াজির জন্য খুবই দুর্বহ। এ সময় সবগুলো ডিভিশন তাদের সংবদ্ধতা হারায়।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রেও এমন কোনো অর্জন ছিল না যা পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পূরণ করতে পারে। জেনারেল নিয়াজির সব ফূর্তি উধাও হয়ে গিয়েছিল।’ এ অবস্থায় আজকের দিনে আকাশবাণী থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উদ্দেশে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান প্রচার শুরু হয়। ঢাকায় ভারতীয় জঙ্গি বিমানের হামলা তীব্রতর করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিমান থেকে আত্মসমর্পণের আহ্বান সম্বলিত লিফেলেট ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওদিকে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন এদিন বার্তা সংস্থার সাথে তার প্রথম সাক্ষাতকারে বলেন, পাকিস্তান ধৈর্য্য ও পরিকল্পনা নিয়ে শত্রুর উপর চরম আঘাত হানবে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে এদিন ঢাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়। প্রতিরক্ষা তহবিলে উদারহস্তে দান করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আবেদন রেডিও-টিভিতে প্রচার করা হতে থাকে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, পাক-ভারত যুদ্ধে নিজেদের জড়িত না করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এদিন ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট নিক্সন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের মধ্যকার আলোচনায় মার্কিন সপ্তম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরে প্রেরণ নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে জুলফিকার আলী ভুট্টো জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলার জন্য নিউইয়র্ক রওনা হন এদিন। মার্কিন সিনেটর কেনেডি সব পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন।
১৯৭১ সালের এদিনে কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, গৌরিপুর, পিরোজপুর, ভালুকা, পটুয়াখালী, গাইবান্ধা, মীরসরাই, বাবুগঞ্জ, মির্জাগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা শত্রুমুক্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।