পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক ধারাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের এই তিনটি অঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, এই তিন বিভাগের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র ও সুশাসন বিকাশে অপরিহার্য। বিচার বিভাগের দক্ষতাকে একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন,বিচারক ও আইনজীবীরা হলেন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাই আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত পেশা। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। একটি দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার সর্বোত্তম মাপকাঠি হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা।
আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করার পর অনেকেই আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। আইন পেশাকে সারা বিশ্বে এমন একটি পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে শিক্ষিত, জ্ঞানী-গুণী, সমাজের শ্রদ্ধেয় ও সংস্কারমুক্ত ব্যক্তির সমাগম ঘটে। তাই একজন আইনজীবীকে শুধু আইনের উপর দখল থাকলে চলবে না, পেশাগত আচার-আচরণে সুন্দর হতে হবে। সর্বোপরি, তাকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে এবং উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে। কেননা বিচার নিষ্পত্তির সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আর সে কারণেই ব্যক্তিগত স্বার্থের চাইতে আদালতের প্রতি কর্তব্য এবং মক্কেলের প্রতি সেবার বিষয়টিই সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। আইন সমিতি শুধুমাত্র এর সদস্যদের কল্যাণেই নয় বরং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানব-উন্নয়নসহ দরিদ্র, সহায়-সম্বলহীন জনগণকে আইনি সেবা প্রদানে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সমিতির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনা এতে রাখেন বিশেষ অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। এছাড়াও প্রধান বিচারপতির স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সাবেক ছাত্রী সামিনা খালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।