Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর নামে ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মূলহোতা সোহাগসহ গ্রেফতার ৬

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৯ এএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর নামে দেড় শতাধিক লোকের নিকট থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতকারী মূলহোতা সোহাগসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে গত ২৪ নভেম্বর প্রতারণার শিকার আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে ঐদিই পুলিশ তিনজনকে পরে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সখিপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার সোহাগ মিয়া (২৪), তার বাবা মজিবর রহমান, বোন জামাই শাহজাহান আলী, সহযোগী নাসির উদ্দিন এবং অপর দুই প্রতারক সুমন ও তার স্ত্রী নাবিলা অস্ট্রেলিয়ার ভানুয়াতুতের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভূক্তভোগীরা থানায় এসে এককজন তাদের করুণ কাহিনী বর্ণনা করে কাঁদতে থাকেন। পরে সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বাকীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে তারা শান্ত হন।
মামলা ও ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক বছর ধরে সখিপুর উপজেলাসহ টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার বিদেশগামী ১শ’ ২০ জন লোকের কাছ থেকে ১৫ ও ১৮ লাখ টাকা করে প্রায় ২০কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সোহাগ ও তার পরিবার। এদের মধ্যে বিদেশগামী কয়েকজনকে নিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা সোহাগের পার্টনার সুমন ও তার স্ত্রী নাবিলা অস্ট্রেলিয়ার ভানুয়াতুতের পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারের খবর ওই দেশের ভানুয়াতুত ডেইলী পোস্ট ও ডেইলী ফিজি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তাদের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। পরে গত ২৪ নভেম্বর প্রতারক সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীদের পক্ষে আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায় এবং দুইদিনের রিমান্ডে আনে। আদালতে আসামীরা ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। পরে গত ৪ (মঙ্গলবার) ডিসেম্বর টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের হাতে প্রতারক চক্রের মূলহোতা সোহাগ গ্রেফতার হলে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত সোহাগের তিন দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী মো. আনিসুর রহমান বলেন- আমিসহ টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার তালিকা পাওয়া ১২০ জন লোকের কাছ থেকে সোহাগ ও তার পবিারের লোকজন প্রতিজনের নিকট থেকে ১৫-১৮ লাখ টাকা করে প্রায় ২০কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা আমাদের টাকা ও প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সখিপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফুল কবির বলেন- এ মামলায় সোহাগসহ ৬জন গ্রেফতার হয়েছে। রিমান্ডে সোহাগ অস্ট্রেলিয়া নেওয়ার নামে প্রায় ২০ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। প্রতারণার সাথে আরো যারা জড়িত তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ