Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদার প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসির প্রতি পূর্ণ আস্থা বিএনপির আইনজীবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৩৯ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র ‘আইনবহির্ভূতভাবে’ বাতিল হয়েছে দাবি করে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়েছে। বুধবার আপিল আবেদনের শেষ দিনে তিন আইনজীবি তিন আসনের খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিলের আবেদন জমা দেন। ফেনী ১ আসনে কায়সার কামাল, বগুড়া- ৬ আসনে নওশাদ জমির ও বগুড়া ৭ আসন মাসুদ আহমেদ তালুকদার এসব আবেদন জমা দেন।

২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে দুই বছরের বেশি দণ্ড থাকায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। আপিল আবেদন জমা দিয়ে আইনজীবি কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “রিটার্নিং অফিসার আইন বহির্ভূতভাবে, অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এটা সরকারের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আমাদের কাছে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে তিনটি আসনে প্রার্থীর পক্ষে আপিল দায়ের করলাম।”

আইন নিজস্ব গতিতে চললে খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে দাবি করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক।

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি ডিসিশন নিলে ইসি থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় পাব আশা করি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হলে তা প্রহসনের নির্বাচন হবে। দেশ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্যে খালেদা জিয়ার সুবিচার চাই আমরা।”

রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র বাতিল করলেও আপিলে তা ফিরে পাবে বলে আশা করেন খালেদার আইনজীবি কায়সার কামাল।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র যে গ্রাউন্ডে বাতিল হয়েছে তা এখানে প্রযোজ্য নয়। ইসি সংবিধান ও আইন অনুসরণ করলে এবং বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে বিশ্বাসযোগ্য সিদ্ধান্ত নিলে খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন” বলেন তিনি।

দুই বছরের বেশি দণ্ডের পর নির্বাচনে অযোগ্যতার বিষয়ে নির্বাচনী আইনের বাধ্যবাধকতা ও ভোটে অযোগ্যতায় আদালতের আদেশের পরও কীভাবে আপিলে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চান।

এ বিষয়ে আইনজীবি কায়সার কামাল বলেন, “একেকটা কেইসের একেক রকম। খালেদা জিয়ার কেইসটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা আশা করি, ইসি আইন ও সংবিধান অনুসরণ করবেন। ইসি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। দেশনেত্রীর বিষয়ে বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে, পক্ষপাতিত্ব না করে খালেদা জিয়া যেভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করবেন ইসি।”

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। নির্ধারিত সময়ে ৩০০ আসনে ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। বাছাইয়ে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন চলছে।
৬-৮ ডিসেম্বর পর‌্যন্ত শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করবে ইসি। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ