Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনকে ঘিরে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে। নির্বাচনের কারণে ডিসেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে না বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক শূণ্য আট শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৯০ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারন অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। কেননা বাজারেও কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি। বরং দাম কমে গেছে। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি সেসব পণ্যের দাম বাড়েনি।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর নভেম্বর মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৬ টাকা। এ বছর এখন ১০০ গ্রামের দাম ৮ টাকা। পেঁয়াজ গত বছর ছিল ৮৪ টাকা কেজি এবার ৪৮ টাকা। কুমড়া ৬০ টাকা, এবার ৫০ টাকা। রসুন ছিল ১১০ টাকা কেজি এখন ১০০ টাকা কেজি। চিনি প্রতি কেজি ছিল ৬৫ টাকা এখন ৫৮ টাকা কেজি। চাল গড়ে প্রতিকেজি ছিল ৫৪ টাকা, এ বছর ৪৮ টাকা কেজি। হলুদ এক কেজির দাম ছিল ২৬০ টাকা, এ বছর ১৯৪ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম কমেছে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার আর একটি কারণ হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার গত এক বছর ধরেই স্থিতিশীল রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের কারনে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। কর্মসংস্থান বিষয়ে বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ছে তবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সেভাবে বাড়েনি। কারণ এ খাতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল তা আমরা দিতে পারিনি।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৯১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল চার দশমিক ৮৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল চার দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক শূণ্য ছয় শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ছয় দশমিক ২১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ছয় দশমিক ৩২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ছয় দশমিক শূণ্য নয় শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ছয় দশমিক ৪১ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূল্যস্ফীতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ