Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এদের জায়গা তো জেলখানা নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে -জয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ পিএম
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিংস আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তাদের নেতাকর্মীরা শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। সামনে নির্বাচন বলে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না? এদের জায়গা তো জেলখানা নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে।
 
 
সোমবার জয় তার ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে এসব কথা লেখেন।
 
সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিএনপির ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই, যাদের তারা মনোনয়ন দিতে পারে।
 
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও সমালোচনা করেন জয়।
 
সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশে হবহু তুলে ধরা হল-
 
জয় লিখেছেন-‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করেই যাচ্ছে বিএনপি। প্রথমে তারা অভিযোগ করল গ্রেফতার নিয়ে। তাদের কর্মীরা ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আহত করেছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে।
 
এসব ঘটনার পেছনে চিহ্নিত বেশিরভাগ লোকেই এতদিন লুকিয়ে ছিল অথবা দেশের বাইরে পালিয়েছিল। এখন নির্বাচনের আগে তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে-এমনকি নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে। এদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কী করা উচিত? সামনে নির্বাচন বলে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না? এদের জায়গা তো জেলখানা নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে।
 
এখন বিএনপি তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে অভিযোগ করছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারপারসন দুজনেই আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। তারেক, একজন পলাতক আসামি এবং হত্যা ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত, লন্ডনে বসে তার দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। একজন পলাতক খুনির হাতে নির্বাচিত প্রার্থী আর কেমনই বা হতে পারে?
 
তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় অপরাধী, না হয় দুর্নীতিগ্রস্ত, ঋণখেলাপি, দুর্নীতি-এমনকি তাদের নামে হত্যা মামলাও আছে। যেমন আবুল কালাম মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, যিনি পিরোজপুর থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, ব্রিটিশ আদালতের চিহ্নিত ফেরারি আসামি!
 
নির্বাচন কমিশনের কি আসলেই উচিত ছিল এসব চিহ্নিত ফেরারি আসামি, ঋণখেলাপিদের নির্বাচন করতে দেয়া? বিএনপি মোট আসনের দ্বিগুণ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে তারা। কারণ তারা জানে, তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, না হয় ঋণখেলাপি এবং এরা নির্বাচনের অযোগ্য। এখন তারা নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করতে এটাকে ব্যবহার করছে।
 
আসল কথা হচ্ছে-বিএনপির ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই, যাদের তারা মনোনয়ন দিতে পারে। তারা শেষ যে বার ক্ষমতায় ছিল, সেটি ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস এবং দুর্নীতিপরায়ণ সরকার। অবশ্য-তখন তাদের সারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে কুখ্যাতিও ছিল।
 
যেসব প্রার্থীর দুর্নাম আছে, আইনি অভিযোগ আছে মাত্র-এমন প্রার্থীকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু জনমতের কারণে যেসব বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আছে, আদালতে তা খারিজ হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়নি।
 
মানুষের জন্য কাজ করে যে দল, তাদের পক্ষেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।’


 

Show all comments
  • AI ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৪ পিএম says : 0
    Make one party system to solve all these problems.
    Total Reply(0) Reply
  • nurul alam ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:০৭ পিএম says : 0
    তাই নাকি ?
    Total Reply(0) Reply
  • বেখেয়ালি ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:৫২ পিএম says : 0
    আইনের প্রয়োগ বাড়াতে হবে !
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:১২ পিএম says : 0
    কি যে বলে আর কি যে কয় সে জানে না। তার যে কি অবস্থা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ