Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হেলমেট আমদানি দ্বিগুণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাজধানীসহ কয়েকটি শহরে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের প্রচলন বেড়েছে। অ্যাপভিত্তিক এসব সেবায় নগরবাসীর নির্ভরতার পাশাপাশি বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে হেলমেট আমদানি।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে বন্দরে হেলমেট আমদানি হয় ৩৯৩ টন। পরের বছর পণ্যটি আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৫৯৯ টন। আর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই হেলমেট আমদানি হয়েছে ৭১৪ টন। এ হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হেলমেট আমদানি দুই বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশে হেলমেট আমদানি হয় প্রধানত ভারত, থাইল্যান্ড ও চীন থেকে। এর বাইরে স্থানীয়ভাবে কম দামের কিছু হেলমেট তৈরি হয়, যা ক্যাপ হিসেবে বেশি পরিচিত। থাইল্যান্ড ও চীন থেকে আমদানি করা হেলমেট চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে দেশে আসে। আর ভারতের হেলমেট আসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
এনবিআরের তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে সেফটি হেডগিয়ার বা হেলমেটজাতীয় পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয় ৭ কোটি ২২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০৬ কোটি টাকা। এর বিপরীত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হেলমেট আমদানি হয়েছে ১৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বা দেড় হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ এক বছরে হেলমেট আমদানির ব্যয় বাড়ে ১৪৬ শতাংশ।
আমদানিকারক ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা পাঠাও ও উবারের জনপ্রিয়তা মোটরসাইকেল ও হেলমেটের বিক্রি বাড়িয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা ও নজরদারি বেড়েছে। চালকের পাশাপাশি আরোহীরাও হেলমেট ব্যবহারে বাধ্য হওয়ায় পণ্যটির বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে।
২০১৬ সালে রাজধানীতে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং চালু করে পাঠাও। সড়কে যানজটের কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় স্থানীয় এ স্টার্টআপ। এরই মধ্যে পাঠাও নিবন্ধিত রাইডার সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির বিপণন ব্যবস্থাপক নাবিলা নূর। তিনি বলেন, পাঠাও অ্যাপসে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতেই রাইড শেষে হেলমেট দেয়া হয়েছে কিনা সেটা রাইড গ্রহীতার কাছে জানতে চাওয়া হয়। ৯৬ শতাংশ পাঠাও রাইডার ও আরোহী হেলমেট ব্যবহার করে বলে যাত্রীদের ফিডব্যাক থেকে জানা যায়। এ হিসাবে বর্তমানে দেড় লাখ পাঠাও রাইডারের মাধ্যমে তিন লাখ হেলমেট নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে। একইভাবে উবার, সহজ রাইডসসহ অন্যান্য রাইডার ও সেবাগ্রহীতারাও হেলমেট ব্যবহার করছেন।
হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার ৮৮ শতাংশ ব্যক্তির মাথায় হেলমেট ছিল না। মাথায় হেলমেট থাকলে ৪০ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি কমে যায়। এক্ষেত্রে ভালো মানের হেলমেট ব্যবহারে জোরারোপ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ