বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দন্ড স্থগিত হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার এ বিষয়ে উভয়পক্ষে শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ চলমান রাখেন। আদালত আদেশে বলেন, স্টে টু কন্টিনিউ। ফলে দুর্নীতির দায়ে কমপক্ষে দুই বছর সাজা হলে নির্বাচনের সুযোগ থাকছে না দন্ডিত ব্যক্তির। একই সঙ্গে যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
গত শনিবার চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে নিম্ন আদালতের দেয়া ছয় বছরের সাজা ও দন্ড স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার কোর্ট গত শনিবার তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দেন। সে অনুযায়ী শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সাবিরা সুলতানার দন্ড স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার কোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রেখেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবিরার অংশ নেয়ার আর সুযোগ থাকল না। ফলে দুই বছরের বেশি দন্ডিতদের নির্বাচন করার সুযোগ থাকল না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও এবিএম বায়েজিদ। সাবিরার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী ও এম আমিনুল ইসলাম।
জ্ঞাত আয়-বহিভূর্ত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় চলতি বছর ১২ জুলাই সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে মোট ছয় বছরের সাজা দেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। সাবিরা ওই সাজা ও দন্ড স্থগিতের আবেদন করলে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার তা মঞ্জুর করেন। এর আগে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেছিলেন, দুই বছরের বেশি দন্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রাখেন। দুর্নীতি মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দন্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন। ফলে আবেদনকারী পাঁচ বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মত দিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।