Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আজ ঠাকুরগাঁও হানাদার মুক্ত দিবস

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত করে লাল-সবুজের পতাকা উড়ায় মুক্তিকামী মানুষ। যুদ্ধকালীন সময়ে এ জেলায় মারা যায় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেরও সংরক্ষণের অভাবে গণকবরগুলো পরে আছে। আর সরকারি সহায়তার অভাবে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবাররের অনেকের দিন কাটছে কোনোরকমে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশীয় রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘাটি করে পাকসেনারা। সদর উপজেলা সুখানপুকুরী, জাটিভাঙ্গা, জগন্নাথপুরসহ পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাকসেনারা হামলা চালায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর। বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হয় সদরের ভুল্লি ব্রিজ। ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে চালানো হয় লুটপাট। সাধারন মানুষকে একত্র করে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে পৈশাচিক গণহত্যার শিকার হয় জেলার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতে গোনা কয়েকটি গণকবর সংস্কার করা হলেও বাকিগুলো পড়ে আছে অবহেলা আর অযত্মে। অন্য দিকে, নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয় পরিমাণে সামান্য। আর যারা সহায়তা পাননি তাদের দিন কাটছে কোনোরকমে।

ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বদর জানান, আমরা গণকবর সংরক্ষণের বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে অবহিত করেছি। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহয়তার ব্যাপারেও অবগত করেছি। আমরা আশা করব, প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ