দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ আবদুল মতিন বিন হাফিজ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মহিউদ্দিন ইবনে আরবী (রা.)-এর তাফসিরে বলা হয়েছেÑ হযরত আবু বকর সিদ্দিকই (রা.) রুহানীভাবে ফেরেস্তার সুরতে তথায় উপস্থিত ছিলেন। এটা ছিল তাঁর কারামত। কেননা, তিনি ছিলেন রাসূলে পাকের নিত্যসঙ্গী। তিনি দুনিয়াতে, মাজারে, হাশরের ময়দানে এবং জান্নাতেও নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গী থাকবেন। সুতরাং মিরাজের রূহানীভাবে উপস্থিত থাকা খুবই স্বাভাবিক (দেখুন ইরফানে শরিয়ত)। আরশে পৌঁছার পর লাওহে মাহফুজ অবলোকনকালে নবী করিম (সা.) দেখতে পেলেন, তথায় শেষ বাক্যটি লেখা ছিল এরূপ : “আমার গজবের ওপর আমার রহমত প্রাধান্য বিস্তার করে রয়েছে” উক্ত হাদিসে কুদসির মধ্যে উম্মতের জন্য একটি গোপন ইশারা নিহিত রয়েছে। তা হলো কিছু শাস্তি ভোগ করার পর সমস্ত হকপন্থি উম্মতই আল্লাহর রহমতে নাজাত পাবে।
নবী করিম (সা.) আরশকে জিজ্ঞেস করলেনÑ আমি সমগ্র জাহানের জন্য রহমতÑ তোমার জন্য কিরূপ রহমত? আরশ তখন আরজ করলÑ আল্লাহতায়ালা যখন আমার মধ্যে কলেমার প্রথম অংশ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লিখলেন, তখন আল্লাহর জালালী শানে আমার মধ্যে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। মনে হয়েছিলÑ যেন আমি টুকরো টুকরো হয়ে যাব। তারপর যখন তার পাশে আপনার জামালী নামের অংশটুকুÑ ‘মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লিখে দিলেনÑ তখন আমার কম্পন বন্ধ হয়ে গেল (শানে হাবীব)! সুতরাং আপনি আমার জন্য বিরাট রহমত।
লা মাকানের উদ্দেশ্যে রওনা
আরশ মোয়াল্লা হতে এবার লা-মাকানের দিকেÑ অজানার পথে রওনা দিলেন নবী করিম (সা.)Ñ যেখানে স্থান-কাল বলতে কিছুই নেই। সমগ্র সৃষ্টি জগৎই তখন নবীজীর কদমের নিচে। আসমান, জমিন, চন্দ্র-সূর্য আরশ কুর্ছি-সবকিছু, এমন কি-আলমে খালক (সৃষ্টি জগৎ) ও আলমে আমর (নির্দেশ জগৎ) সবকিছুই তখন নবী করিম (সা.)-এর পদতলে রয়ে গেল। তিনি সমস্ত কিছু অতিক্রম করে আল্লাহর এত নিকটবর্তী হলেন যে, দুই ধনুকের চার মাথার ব্যবধান বা তার চেয়েও কম ব্যবধান রয়ে গেল। এটা রহস্য জগৎ। এ অবস্থাকে মুতাশাবিহাত বা দুর্বোধ্য অবস্থা বলা হয়। কোরআন মজিদে এই মাকানকে কাবা কাউমাইন বলা হয়েছে। শারীরিক সান্নিধ্য এখানে উদ্দেশ্য নয়। আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য ও ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য বোঝানো। তাফসিরে রুহুল বয়ান ৩য় পারা প্রথম আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “নবী করিম (সা.)-এর নূরানী সুরতের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল সে সময়। তাঁর বাশারিয়াত সে সময় উন্নত হতে হতে নূরে ওয়াহ্্দানিয়াতের মধ্যে মিশে গিয়েছিল” যেমন মিশে যায় পানিতে চিনি। এই মাকানকে তাছাওফের ভাষায় ‘ফানা’ বলা হয়। রুহুল বয়ানের এবারতটুকু নি¤েœ পাঠকদের জন্য উদ্ধৃত করা হলো। অর্থাৎ অর্থÑ “নবী করিম (সা.) লাইলাতুল মিরাজে কোনো স্থানে বা সৃষ্টি জগতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। কেননা, তখন তিনি তাঁর জড় অস্তিত্বের অন্ধকার ভেদ করে ফানা হয়ে আল্লাহর নূরের অস্তিত্বে অস্তিত্ববান হয়েছিলেন। এ কারণেই কোরআন মজিদে (সূরা মায়েদা-১৫ আয়াত) আল্লাহতায়ালা তাঁকে ‘নূর’ বলে আখ্যায়িত করে ইরশাদ করেছেন, হে জগৎবাসী, তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ হতে প্রথমে এক মহান নূর ও পরে একটি স্পষ্ট কিতাব এসেছে”।
বোঝা গেলÑ তিনি দুনিয়াতে আগমনকালেই নূর ছিলেন-মাটি নয়। যারা মাটি বলে-তারা ভ্রান্ত। (তাফসিরে রূহুল বয়ান পৃ: ৩৯৫ তৃতীয় পারা ১ম আয়াত)। উক্ত আয়াতের পূর্ণ বিকাশ হয়েছিল “ক্বাবা কাওছাইন” মাকামে।
আল্লাহর সাথে কালাম
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে নবী করিম (সা.)-এর কি কি কথোপকথন হয়েছিল, তা কোরআনে গোপন রাখা হয়েছে। শুধু ইরশাদ হয়েছে : ‘যা গোপনে বলারÑ আল্লাহতায়ালা তা আপন প্রিয় বান্দার কাছে গোপনেই বলে দিয়েছেন’। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন : “আমাকে অনেক প্রকারের গুপ্ত-সুপ্ত এলেম দান করা হয়েছে এবং সাথে সাথে ওই এলেমের কোনো কোনো বিষয় গোপন রাখতেও আমাকে নির্দেশ করা হয়েছে”।
কাসাসুল আম্বিয়া নামক উর্দু কিতাবে নব্বই হাজার কালামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ত্রিশ হাজার কালাম হাদিসের আকারে সবার জন্য এবং ত্রিশ হাজার কালাম খাছ খাছ লোকদের নিকট প্রকাশ করার জন্য এবং অবশিষ্ট ত্রিশ হাজার সম্পূর্ণ নিজের কাছে গোপন রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে ছাভী দেখুন সূরা নিছা-১১৩ আয়াত)
তাফসিরে রূহুল বয়ানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবী করিম (সা.) একপর্যায়ে আল্লাহর দরবারে আরজ করেছিলেনÑ “আমার উম্মতকে সর্বশেষ এবং কিয়ামতের নিকটবর্তী করে কেন পাঠান হলো এবং তাদের হায়াত পূর্বের তুলনায় কম রাখা হলো কেন”? উত্তরে আল্লাহতায়ালা বলেছিলেন, “আপনার উম্মতগণ যেন গুনাহ্ করার সময় কম পায়, সেজন্য তাদের হায়াত সংকীর্ণ করেছি এবং আপনার উম্মত যেন কম সময় কবরে থাকেÑ তাই তাদেরকে কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে সর্বশেষে প্রেরণ করেছি”। সুবহানাল্লাহ! এই সময়ের সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক জ্ঞানী লোকেরই উচিত। নবীজীর উম্মত হওয়ার কারণেই আমাদেরকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ দর্শন
আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছার পর প্রথমে নবী করিম (সা.) আল্লাহর প্রশংসা করলেন এভাবে “আমার জবান, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও ধন-সম্পদ দ্বারা যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য হাদিয়া স্বরূপ পেশ করছি”। এর উত্তরে আল্লাহতায়ালা নবীজীকে সালাম দিয়ে বললেন “হে আমার প্রিয় নবী, আপনার প্রতি আমার সালাম, রহমত ও বরকতসমূহ বর্ষিত হোক”। উক্ত ছালামের জবাবে নবী করিম (সা.) আরজ করলেনÑ “হে আল্লাহ! তোমার সালাম এবং আমি আমার গুনাহগার উম্মতের ওপর এবং তোমার অন্যান্য নেককার বান্দাদের ওপরও বর্ষিত হোক”! আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের এই সালাম বিনিময়ের কৌশলপূর্ণ উক্তি ও ভালোবাসার নমুনা এবং উম্মতের প্রতি নবীজীর ¯েœহ মমতা দেখে ও শুনে মোকাররাবীন ফেরেস্তাগণ সমস্বরে বলে উঠলেন “আমি (প্রত্যেকে) সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) আল্লাহর অতি প্রিয় বান্দা এবং তাঁর প্রিয় রাসূল”। “আল্লাহর কাছে তিনি প্রিয় বান্দাÑ কিন্তু বিশ্ব জগতের কাছে তিনি প্রিয় রাসূল”। কি যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখানে বর্ণনা করা হয়েছে তা কেবল মহাজ্ঞানীরাই অনুধাবন করতে পারবেন। আল্লাহতায়ালা নিজের ও হাবিবের মধ্যে ভাব বিনিময়ের এই ‘তাশাহ্্হুদ’ আমাদের নামাজের একটি ওয়াজিব অংশ করে দিয়েছেন। এর প্রতিটি শব্দ নামাজের বৈঠকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালার দরবারে নবী করিম (সা.) যেভাবে সম্মোধনমূলক তাহিয়্যাত পাঠ করেছিলেন এবং আল্লাহতায়ালাও যেভাবে সম্বোধন করে নবীজীকে সালাম দিয়েছিলেন, অনুরূপভাবেই তাশাহুদ পড়ার সময় প্রত্যক মুসল্লিকে আল্লাহকে সম্বোধন করে তাহিয়্যাত অংশটুকু পাঠ করতে হবে এবং নবী করীম (সা.)-কেও সম্বোধন করে সালাম পেশ করতে হবে। ফতোয়া শামীর এবারত দেখুন “আল্লাহর তাহিয়্যাত এবং রাসূলের প্রতি সালাম পাঠকালীন সময়ে খেতাব বা সম্বোধন করতে হবে। শুধু মিরাজের ঘটনা বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়”। (ফতোয়ায়ে শামী, ফতোয়ায়ে আলমগীরী ও বাহারে শরীয়ত দ্রষ্টব্য)।
যেহেতু মুমিনদের জন্য নামাজ মিরাজস্বরূপÑ সুতরাং মিরাজের মতোই আল্লাহ ও রাসূলকে সম্বোধন করতে হবে। সম্বোধন করা হয় হাজির নাজির ব্যক্তিকে। সুতরাং নবীজী হাজির ও নাজির। (ইমাম গাজালীর ইহ্্ইয়া)
উম্মতের জন্য মাগফিরাতের সুপারিশ :
রিয়াজুন্নাছেহীন কিতাবে তাফসিরে মুগনী ও মিরছাদুল ইবাদ নামক দুটি গ্রন্থের সূত্রে বর্ণিত আছেÑ নবী করিম (সা.)-কে আল্লাহতায়ালা জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি আমার কাছে কি প্রার্থনা করেন”? নবী করিম (সা.) বললেনÑ “হে আল্লাহ, আপনি রাব্বুল আলামিন, আর আমাকে বানিয়েছেন রাহমাতুল্লিল আলামিন। আমার উম্মত বেশুমার গুনাহগার মুযনেবীন। আমার খাতিরে আমার গুনাহগার উম্মতকে মাফ করে দিন”। আল্লাহতায়ালা বললেনÑ “আপনার খাতিরে আপনার উম্মতের মধ্য হতে সত্তর হাজারকে ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি”। এরপর আর কি প্রার্থনা আছে? নবী করিম (সা.) পুনরায় গুনাহগার উম্মতের কথা উল্লেখ করলেন। এভাবে ৭০০ (সাতশত) বার প্রার্থনা করলেন। প্রত্যেকবার সত্তর হাজার করে গুনাহগার উম্মতের ক্ষমার কথা ঘোষণা করলেন পাক পরওয়ারদেগার। এভাবে চার কোটি নব্বই লাখ উম্মতকে ওইদিন ক্ষমার আওতায় আনা হলো।
নবী করিম (সা.) উম্মতের মায়ায় আবারও আরজ পেশ করলেন। আল্লাহতায়ালা এবার বললেনÑ “এখন আপনি ও আমি একা। হাশরের ময়দানে ফেরেস্তা, আম্বিয়া, আউলিয়া ও হাশরবাসীদের সবার সামনে অবশিষ্টকে ক্ষমা করব। আপনি চাইবেন। আমি দেব। সবাই সাক্ষী থাকবে এবং আপনার মর্তবা তখন সকলেই উপলব্ধি করবে”। সোব্্হানাল্লাহ! এমন শাহী দরবারে গিয়েও নবী করিম (সা.) নিজের ও পরিবারের জন্য কিছুই না চেয়ে শুধু গুনাহগার উম্মতের নাজাত প্রার্থনা করেছেন। সত্যিই তিনি ঈমানদারদের জন্য রাউফ ও রাহীম। সূরা তওবার শেষাংশে ইরশাদ হয়েছে : “নবী করিম (সা.) মোমেনদের জন্য ¯েœহময় ও দয়াশীল”। এই ¯েœহ ও দয়ার বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল মিরাজের রাত্রিতে এবং ভবিষ্যতে হবে হাশরের ময়দানে। যখন আল্লাহর ভয়ে কেউ সুপারিশের জন্য অগ্রসর হবে না, তখন নবী করিম (সা.) হতাশ হাশরবাসীদের অভয় দিয়ে বলবেন, “তোমাদের শাফাআতের জন্য আমি আছি”Ñ
(বোখারি ও মুসলিম)। সুবহানাল্লাহ!
মিরাজ হতে ষষ্ঠ আকাশে প্রত্যাবর্তন ও পুনঃগমন
অনেক রায ও নেয়াযের কথার পর আল্লাহতায়ালা উম্মতে মোহাম্মাদীর ওপর দিনে-রাতে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করলেন এবং নবী করিম (সা.)-কে বিদায় দিলেন। নবী করিম (সা.) যখন ষষ্ঠ আকাশে এলেন, তখন মূসা (আ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। (বোখারি মুসলিম, মিশকাত প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থ)। হযরত মূসা (আ.) আরজ করলেনÑ “কত ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো আপনার উম্মতের ওপর”। হুজুর (সা.) বললেনÑ পঞ্চাশ ওয়াক্ত। মূসা (আ.) বললেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছিÑ আপনার উম্মত তা আদায় করতে পারবে না। কেননা, আমার উম্মতের ওপর আরও কম হওয়া সত্ত্বেও তারা তা আদায় করতে পারেনি। সুতরাং আপনি আপনার রবের কাছে আবার ফিরে যান এবং হাল্কা করার প্রার্থনা করুন। হাদিসের এবারত নি¤œরূপÑ “আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং হাল্কা করার দরখাস্ত পেশ করুন”।
হুজুর (সা.) ইরশাদ করেনÑ “অতঃপর আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহতায়ালা এবার পাঁচ ওয়াক্ত কমালেন। আমি পুনঃ ষষ্ঠ আকাশে ফিরে এলাম। এবারও মূসা (আ.) পুনরায় আমার রবের কাছে ফিরে যেতে আরজ করলেন”। এভাবে নয়বার ষষ্ঠ আকাশ থেকে নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে যাওয়া-আসা করলেন। আল্লাহতায়ালা প্রতিবার পাঁচ ওয়াক্ত করে নামাজ কমাতে থাকলেন এবং পঞ্চাশের মধ্যে পঁয়তাল্লিশ ওয়াক্ত কমিয়ে মাত্র পাঁচ ওয়াক্ত বহাল রাখলেন। এবারও হযরত মূসা (আ.) পুনরায় আল্লাহর দরবারে ফিরে যাওয়ার জন্য আরজ পেশ করলেন। নবী করিম (সা.) বললেনÑ “আমি পাঁচ ওয়াক্তেই রাজি হলাম। পুনরায় ফিরে যেতে লজ্জা লাগে”। আল্লাহপাক সাথে সাথে ওহী নাজিল করলেন : “আল্লাহর ফায়সালার আর কোনো পরিবর্তন হবে না”। তবে আল্লাহতায়ালা সান্ত¦না দিয়ে নবী করিম (সা.)-কে বললেন, “আপনার উম্মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আমার এখানে পঞ্চাশ ওয়াক্তই লেখা হবে। সুতরাং আপনার উম্মতকে পাঁচ ওয়াক্ত দেয়া যেমন ঠিক, তেমনিভাবে আমার পঞ্চাশ ওয়াক্তের নির্দেশও ঠিক। পার্থক্য শুধু সংখ্যায়Ñ “গুণে নয়”। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর কি অসীম দয়া! বান্দা পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবে, আর আল্লাহতায়ালা তার দশগুণ করে রেকর্ড করবেনÑ এমন নজির কোথাও আছে কি?। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।