বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশ থেকে এইডস/এইচআইভি নির্মূলের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্তি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যে ধনুষ্টংকর, পোলিওসহ বেশ কয়েকটি রোগমুক্ত হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশ থেকে এইচআইভি/এইডস নির্মূলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, বাংলাদেশ তা অবশ্যই অর্জন করতে পারবে। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সরকারের জাতীয় এইডস/এসডিটি কর্মসূচি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের এইচআইভি/এইডসের সর্বশেষ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর মো. শামিউল ইসলাম। তিনি জানান, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৮৬৯ জন নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৪৮ জন। দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫৫ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ২২ জন। দেশে এইচআইভি সংক্রমিত মানুষ আছে ১৩ হাজারের মতো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর নাসিমা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) মো. হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) প্রফেসর ডা. মো. শামিউল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরু আগে জাতীয় সংসদের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এতে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এনজিওকর্মীরা অংশ নেন।
বিএসএমএমইউতে শোভাযাত্রা
এদিকে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে বটতলা থেকে ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন’ প্রতিপাদ্যে একটি জন সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এ সময় প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, শিশু অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ১৯৮৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত করা হয় এবং তা অব্যাহত আছে। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। বাংলাদেশে সরকারী পর্যায়ে প্রথমবারের মতো গত ১৬ মে ২০১৩ থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছে এবং এ সেবা অব্যাহতভাবে চলছে। এই সেবার অধীনে এই পর্যন্ত মোট ৫৮ জন গর্ভবতী মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।