ইবি রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সমর্থক কর্মকর্তাদের উপর হামলা করেছে প্রো-ভিসি সমর্থক কর্মকর্তারা। এতে ভিসি সমর্থক মোর্শেদসহ পাঁচ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত মোর্শেদের অবস্থা আশংকা জনক। বুধবার উভয় গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের অপসারণ দাবি করে গত মঙ্গলবার মানববন্ধন করে প্রো- ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তাদের কর্মসূচির পাল্টা জবাব দিতে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। জানা যায়, ভিসি সমর্থকদের কর্মসূচির প্রতিবাদে একই সময়ে পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেয় প্রো-ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে ভিসি ও প্রো-ভিসি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। সকাল থেকেই প্রো-ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ ডায়না চত্বরের পাশে অবস্থান নেয়। এসময় ভিসি সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্টে অবস্থান নেয়। জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি সমর্থক কর্মকর্তা মোর্শেদ খানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মানববন্ধনে যোগদানের জন্য প্রশাসন ভবন থেকে বের হলে প্রো-ভিসি সমর্থক কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা প্রশাসন ভবনের মধ্যে দৌড়ে গিয়ে এস্টেট শাখায় অবস্থান নেয়। এসময় প্রো-ভিসি সমর্থক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন খান, আব্দুল হান্নান, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন ভিসি সমর্থকদের উপর হামলা করে। এতে ভিসি সমর্থক কর্মকর্তা মোর্শেদ খান, এস্টেট শাখার হারুন অর রশিদ, ভিসির পিএস মনিরুল ইসলাম, রেজিষ্ট্রারের পিএস আনোয়ার, পরিকল্পনার রেজাউল করিম রেজা আহত হন। আহতদের মধ্যে মোর্শেদের অবস্থা আশঙ্কা জনক। মোর্শেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া মনিরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোর্শেদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলা ঘটনার পরে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ব্যানারে মানববন্ধন করে প্রো-ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা। একই সময়ে অনুষদ ভবনে সামনে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে ভিসি সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘যেহেতু উভয় গ্রুপের মধ্যে একটু মতবিরোধ হয়েছে। তাই সবাই যাতে নির্বিঘ্নে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পায় সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’