পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনন্দমুখর পরিবেশে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৯টি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা শোডাউন করছে। তাদের প্রার্থীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি।
বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে উপস্থিতি কিছুটা কম। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা দলবল নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও বিএনপির ক্ষেত্রে বাধা দেয় পুলিশ। এনিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সাথে পুলিশের বাদানুবাদও হয়।
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৮ বিধির (খ) উপবিধি অনুসারে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করতে পারবে না। উল্লেখিত বিধান অনুসারে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সহকারে মিছিল এবং শোডাউন না করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ বা জমাদানের সময় শোডাউন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ধরনের শোডাউন বন্ধে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ প্রার্থী দলবল নিয়েই মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ৩০ জনের নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আসেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। এসময় পাঁচজনের বেশি লোক সঙ্গে না নিতে অনুরোধ করায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান নোমান। তিনি একপর্যায়ে বলেন, আমিই চলে যাই তাহলে। পরে নেতাদের অনেকে বাইরে অপেক্ষা করেন।
মনোনয়ন পত্র জমাদান শেষে আবদুল্লাহ নোমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এখনও সরকারের পদলেহী আচরণ করছে। নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাব, তারা যেন দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়।
নোমানের পর চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিএনপির অপর ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান।
এরপর একযোগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে জাসদ একাংশের নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের ডা. আফছারুল আমিন ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের এম এ লতিফ এবং চট্টগ্রাম-৪ (কাট্রলী-সীতাকু-) আসনে দিদারুল আলম।
পাঁচ প্রার্থীর সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ কয়েক’শ নেতাকর্মী ছিলেন।
প্রার্থীদের সঙ্গে নেতাকর্মীরা সবাই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। তখন হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বাধা অনেকে অফিসে ডুকে পড়েন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.অ াব্দুর রউফ বলেন, পাঁচজন প্রার্থী একসঙ্গে আসায় নেতাকর্মীদের ভিড় হয়েছে। তবে নিয়ম মেনেই তারা জমা দিয়েছেন।
এদিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন পত্র জমা দেন চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা ও বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বড় দলগুলোর অনেক প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।