পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জার্মান ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জার্মান রাষ্ট্রদূতের কথার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করেছে। সেখানে জার্মান ব্যবসায়ীরা তাদের শিল্প কারখানা স্থাপন করতে পারেন। বৈঠকে জার্মান রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ বাংলাদেশকে জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে জার্মানি আরও অবদান রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় জার্মানি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানি এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ভার আমরা বুঝতে পারি, কারণ জার্মানিও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, কক্সবাজার অঞ্চলে উদ্বাস্তুদের সংখ্যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানির সাথে হওয়া চুক্তির বিষয়ে পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, প্রকল্পটি ভালোভাবে এগিয়ে চলছে এবং তা বাস্তবায়নে জার্মান কোম্পানি কাজ করে যাচ্ছে। ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি বাড়ানোয় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের সময় প্রধানমন্ত্রী তার জার্মানিতে অবস্থানের কথা স্মরণ করেন। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানির সমর্থন দেয়ার কথাও স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।