Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভোটের মাঠ সরগরম

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকার আসনগুলোর মতো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। সবাই তী² দৃষ্টি রাখছেন ভোটের মাঠের অবস্থা। প্রার্থীদের কর্মীদের কথা আলাদা, কিন্তু সাধারণ ভোটাররা এখনো মাঠে নামেননি কোনো প্রার্থীর পক্ষে। সবাই যেন দেখছেন চ‚ড়ান্ত প্রার্থী কে কোথায় হয় এবং সার্বিক ভোটের পরিস্থিতি। সচেতন ভোটাররা বলেছেন, প্রশ্নমুক্ত সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। জনপ্রত্যাশা গণতন্ত্রের ধারকশক্তি নির্বাচনে সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সচেতন ও পর্যবেক্ষক মহল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নতুন করে দেশ কখনো যেন অনিশ্চয়তার বেড়াজালে আবদ্ধ না হয়। ভোট রাজনীতির খোলোয়াড়রাও নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

দল বা ব্যক্তির নির্বাচনী রাজনীতির পুঁজি জনপ্রিয়তা। সেটি প্রমাণের জন্যই ভোট। নেতারা নিজেদের ভোটবাক্স কিভাবে সমৃদ্ধ করবেন সেই চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় কিভাবে উপস্থাপন করবেন এটিও ভাবনা থেকে বাদ পড়ছে না। নির্বাচনী রাজনীতি পর্যবেক্ষকদের কথা, ভোটাররাও বেশ নড়েচড়ে বসছেন। তারা ভাবছেন বড় অট্টালিকা ও দামি গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পথের ধূলায় ও জীর্ণ কুটিরের দরজায় মলিন বদনে অনেকেই যখন ভোট ভিক্ষা করতে আসবেন তখন কি বলা যাবে কি বলা উচিত- এ সব নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। কারণ কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির জনকল্যাণের চেয়ে নিজের কল্যাণে বেশি যত্মবান হওয়ার নজির রয়েছে। অহংবোধের ঘন আবরণে ঢাকা অনেক রাজনৈতিক অরাজনৈতিক প্রার্থী ভোট প্রার্থনার কৌশল রপ্ত করছেন। এবারের নির্বাচন একতরফা হচ্ছে না। হচ্ছে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ। তাই দ্বারে দ্বারে ভোটভিক্ষা করতে যেতে হবে, দিতে নানা আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি। করতে হবে ভোটারদের মন জয়। তা হলেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে, নতুবা নয়- এ ভাবনা থেকে বাদ পড়ছেন না প্রার্থীরা।

আমজনতার কাক্সিক্ষত বিষয় হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা পছন্দের নেতাকে দায়িত্ব দেন দেশ পরিচালনার। সে জন্য তাদের কাছে জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভোট রাজনীতির মাঠে নানামুখী তোড়জোড় চলছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে মাঠ গরম হচ্ছে। প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। যারা ইতোমধ্যেই দলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গেছেন তারা ঘন ঘন সরাসরি ও মোবাইলে কিংবা প্রতিনিধি মাধ্যমে সালাম পৌঁছে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক দলের নেতারা হাঁটছেন এখন বেশ জোর কদমে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, ভোট রাজনীতিতে ঘটেনি কোনো মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তন। অনেকটাই গতানুগতিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ