পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, গতকাল (২৬ নভেম্বর) ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এবং আজ আমান উলাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতা আবেদন করেছিলেন এই বলে যে- তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে আছেন কিন্তু তাদের দণ্ড স্থগিত না করা হলে তারা সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারছেন না। এই বলে তারা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
তিনি জানান, আদালতে আমি (শুনানিতে) বলেছিলাম- ফৌজদারী আদালত বিশেষ করে ফৌজদারি আপিল আদালত অবশ্যই তাদের সাজা (সেনটেন্স) স্থগিত করতে পারেন। কিন্তু কনভিকশন বা তাকে যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেটির স্থগিত নয়। বিশেষ করে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) উল্লেখ করে বলেছিলাম- সেই সমস্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বা সংসদ সদস্য হতে পারবে না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন দুই বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলে বলেন, যারা দরখাস্ত করেছিলেন তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত। এরা তাদের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করেনি। এবং তাদের ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়নি। এমতাবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়, তা হবে সংবিধানের পরিপন্থী। কাজেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অবকাশ থাকবে না বলে আমি মনে করি।
খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এটি সাংবিধানিক বিধিবিধান। যে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কিংবা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে থাকতে পারবে না, যদি ওই ব্যক্তি অন্যূন দুই বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়। এখানে শর্ত হলো ২টি । তা হলো- তিনি যদি দণ্ডিত হন তাহলে পারবেন না। আর ইতোমধ্যে তিনি যদি তার দণ্ড বা সাজা থেকে মুক্তি লাভ করেন তাহলে তার সাজা বাতিলের তারিখ থেকে ৫ বছর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কাজেই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দুটি প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। কোনো আদালত তার রায় দিয়ে এই সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।