বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী জন শুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই দেশে পঞ্চমবারের মত কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। শুমারির প্রাথমিক পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের মাধ্যমে শুমারির প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র অডিটরিয়ামে কৃষি শুমারি প্রকল্পের প্রথম জোনাল অপারেশন কার্যক্রমে নিয়োজিত মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আবুয়াল হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব) সভাপতিত্ব করেন।
জোনাল অপারেশনের মাধ্যমে সকল মৌজা, মহল্লায় গণনা এলাকা নির্ধারণের পাশাপাশি মৌজা ও মহল্লায় গণনা এলাকার স্কেচ ম্যাপে সীমানা নির্ধারণ ও সীমানা দেখানোসহ ম্যাপে যাবতীয় হালনাগাদ গণনা করা হবে। শুমারির কাজ শুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাঠ পর্যায়ে জোনাল অপারেশন শুরু করতে পেরেছি। কৃষি শুমারি কৃষি প্রধান দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রকল্পের আওতায় বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গাড়ি দিয়েছি। আপনারা সবাই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকল্পের আওতায় পর্যাপ্ত জনবলও নিয়োগ দেয়া হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বিষয়টি থাকা দরকার। তাহলে তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে সবার একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব জাফর আহাম্মদ খান বলেন, সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণ জোনাল অপারেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে জোনাল অফিসারদের মৌলিক প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন। জোনাল অপারেশন কৃষি শুমারি প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল খানার কৃষি বিষয়ক তথ্য সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সংগ্রহ করা হবে। প্রতিটা খানাকে গণনায় অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জোনাল অপারেশন অপরিহার্য। পরিচালক আরও বলেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে কৃষি খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণ জীবনে দারিদ্র দূরীকরণ জাতীয় পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য, যা কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এজন্য ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। ২০১৭ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এ শুমারির কার্যক্রম চলবে।
জানা গেছে, কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমি ব্যবহার, শস্যের ধরণ, জমি চাষের প্রকার, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, মৎস্য চাষের বিভিন্ন তথ্যাদি এবং এ সব কার্যক্রমে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। এ ধরনের তথ্য কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ৬টি প্রধান ফসল এবং ১১৮টি অ-প্রধান ফসলের পরিমান, ফলন ও উৎপাদনের হিসাব প্রাক্কলন করে থাকে। বিবিএস বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতায় সারা দেশে শহর ও গ্রামে কৃষি শুমারি পরিচালনা করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।