Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেম করেছে মেয়ে মা হলেন ঘাতক

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

‘প্রেম মানে না জাতপাত, নেই কোন উঁচু-নিচু ভেদাভেদ। আর এই প্রেমের কারনেই খুন হয় সোনাপুর ডিগ্রি কলেজের অনার্স হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তাবাছসুম তানিয়া চমক (২২)। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, জয়কৃষ্ণপুর এলাকার এনামুল হক উকিল বাড়ীর শাহাজাদা এনামুল হক হিমেলের স্ত্রী সাজেদা আক্তার নিপু (৪০), তার মেয়ে তাসনিম তাহসিন চাঁদনী (১৯) ও সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুল্যা মাস্টার বাড়ীর আব্দুল্যা চৌধুরীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম সোহেল (৩০)।
জানা গেছে, কলেজে পড়াকালীন তাপস নামের এক হিন্দু সহপাঠির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে চমক। আর এই সম্পর্ক চলতে থাকে দিনের পর দিন। এক সময় তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। ঘটনার ৫/৬দিন আগে ডাক্তার দেখানোর জন্য চমকের বাবা হিমেল ও তার মা নিপু ঢাকায় যান। এসময় মাইজদী পৌর বাজার সংলগ্ন জয়কৃষ্ণপুর বাসায় শুধু চমক এবং তার ছোট বোন চাঁদনী ছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরেন চমকের মা নিপু। এসময় মায়ের অনুপস্থিতিতে চমক প্রেমিক তাপসের সাথে সারাদিন কথা নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলে মাকে অবগত করে তার ছোট বোন চাঁদনী। তখন রাত সাড়ে ১০টা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত চমককে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে নির্যাতন করে তার মা। এর একপর্যায়ে চমক মেঝেতে পড়ে গেলে চাঁদনীর শরীর থেকে ওড়না টেনে নিয়ে চমকের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে চমককে হত্যা করে তার মা। পরে তার ছোটবোন নিপু ও ছোটভাই জাহিদুল ইসলাম সোহেল’এর সহযোগিতায় ওড়না দিয়ে টেনে ঘরের পাশের একটি ডোবার মধ্যে চমকের লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পরের দিন ১২ নভেম্বর নিহতের মা সাজেদা আক্তার নিপু রেল স্টেশনে তাকে এগিয়ে আনতে গিয়ে চমক নিখোঁজ হয় এই মর্মে থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনার ৩ দিন পর ১৫ নভেম্বর বিকেলে তাদের বাসার পাশের ডোবা থেকে চমকের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে তার প্রেমিক তাপসকেও আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে এই ঘটনায় নিহতের মা ও মামাকে আটক করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, শুক্রবার তাসনিম চাঁদনী নোয়াখালী বিচারিক আদালত-২’এ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেব উদ্দিন খাঁন এর আদালতে হাজির করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে ঘটনার বিবরণ দেয়। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় নিহতের বাবা শাহজাদা এনামুল হক হিমেল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন, মামলা নং-২১। আসামীদের মধ্যে চাঁদনীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নিপু ও সোহেলের ১০দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘাতক

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ