Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোলে প্রযুক্তির ছোঁয়া

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দুই দেশের আমদানি-রফতানি গতিশীল ও বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেনাপোল বন্দরকে অটোমেশন ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে অটোমেশন, সিসি ক্যামেরা ও বাউন্ডারি ওয়াল। বছরে ভারতের সাথে ৩০ হাজার কোটি টাকার আমদানি বাণিজ্য হলেও তেমন একটা উন্নয়ন হয়নি এই বন্দরের। প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও অটোমেশনের কাজও চলেছে। বর্তমানে কাস্টমস হাউসে ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে অটমেশন ও সিসি ক্যামেরার আওতায় কাজ চললেও বন্দরে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সব ধরনের কাজ করা হয়। ফলে প্রায় সময়ই দেখা দেয় স্থবিরতা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশর বিভিন্ন দফতরে ডিজিটালাইজেশন’র কার্যক্রম চললেও বেনাপোল বন্দর অনেকটা আধুনিকতার ছোঁয়ার বাইরে। নানা প্রতিক‚লতার মধ্যে সম্পাদিত হচ্ছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য।

কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তরিক। সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের উন্নয়ন করা হবে। ১৯৭২ সালে শুরু হয় বেনাপোল বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। বেনাপোল বন্দর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর। এই বন্দর থেকে সরকার বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করলেও তুলানমূলক উন্নয়ন হয়নি। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫-৬ শ’ পণ্য বোঝাই আসছে। অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন আমদানি বাণিজ্য কমতে শুরু করেছে ভারতের সাথে। সরকারের রাজস্ব আয়েও বিরুপ প্রভাব পড়ছে। সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের সিংহভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। কলকাতায় থেকে বেনাপোলে আসতে সময় লাগে মাত্র ৩ ঘণ্টা। ফলে আমদানিকারকরা এই পথে মালামাল আনতে করতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে। এপথে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, দেরিতে হলেও বেনাপোল বন্দরে সিসি ক্যামেরা ও অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এতে আমরা অনেকটা স্বস্তিবোধ করছি। এতে যেমন কাজের গতি বাড়বে তেমনি বন্দরের নিরাপত্তাও অনেকটা নিশ্চিত হবে।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, বন্দরে সিসি ক্যামেরা ও অটেমেশন প্রক্রিয়ার দাবি আমাদের বহু দিনের। তিনি আরো বলেন, বণিজ্য সম্প্রসারণে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। কাস্টমস হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, আগামীতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪শ’ ক্যামেরা বসানো হবে।

বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস জানান, অটোমেশন চালুতে এখন ব্যবসায়ীরা ঘরে বসে বন্দরে রাখা মালামালের খোঁজ খবর নিতে পারবেন। অটোমেশন প্রক্রিয়ায় কাজ সম্পন্ন করতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ