পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, দেশের যে কোনো প্রয়োজন ও সংকটে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এগিয়ে আসবে। সেনাবাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে দেশের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে এখন পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সরকারের নেয়া যে কোনো কার্যক্রমে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও জাতিগঠনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, শৃঙ্খলা আনয়ন এবং তাদের নিবন্ধন কার্যক্রমসহ সব জায়গায় সেনা সদস্যরা কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ৩ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকটাত্মীয়, ৩ জন বীর উত্তম, ১৪ জন বীর বিক্রম ও ২৭ জন বীরপ্রতীক সেনাসদস্যের (সর্বমোট ৪৭ জন) সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রশংসনীয় ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন ‘অসামান্য সেবা পদক’ এবং ১৯ জন ‘বিশিষ্ট সেবা পদক’ (বিএসপি) প্রাপ্ত সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনী প্রধান পদকে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্তদের প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সেনাবাহিনী প্রধান খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। এছাড়া তিনি শান্তিকালীন পদক প্রাপ্তদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান ও সেনাসদরসহ ঢাকায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত বুধবার চট্টগ্রামে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান অতিথিদের স্বাগত জানান। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সামগ্রীক উত্তরোত্তর উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।
মঞ্চে এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, এয়ার অফিসার কমান্ডিং এয়ার কমডোর মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাগরিকগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে অতিথিদের নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটা হয়। সম্মাননা দেওয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৭ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। বুধবার বিকেলে বরিশাল মহানগরী থেকে ২৬ কিলোমিটার দুরে পায়রা নদীর তীরে শেখ হাসিনা সোনাবিসাসে এ মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জিওসি এবং বরিশালের এরিয়া কমান্ডার দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কঠোর আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। জিওসি তার ভাষনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী-এডবিøউসি, পিএসসি মহান মূক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এ অনুষ্ঠানে এরিয়া কমান্ডার বরিশাল বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলাসহ আর্ত মানবতার সেবার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাশ দমন, জঙ্গী দমন ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ড ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জল করেছে।
গতকাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসে মনমুগ্ধকর এ সংবর্ধনা অনষ্ঠানে ৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ক্রেষ্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। ভাষনের পরে অতিথিবৃন্দকে নিয়ে জিওসি কেক কেটে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রহুল আমীন হালাদার-এমপি, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, মো. টিপু সুলতান-এমপি ও বেগম ইসরাত জাহান রত্মা আমীন-এমপি ছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগন যোগদান করেন। বরিশাল সেনসানিবাসের বিভিন্ন ব্রিগেড কমান্ডারগন ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাগন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জিওসি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
যশোর ব্যুরো জানায়, সেনাবাহিনীর যশোর অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় বুধবার যশোর সেনানিবাসে ৪৭তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে যশোর সেনানিবাসের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। যশোর অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, এসজিপি, এনডিসি, এএফডবিøউসি, পিএসসি, পিএইচডি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্রবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যশোর অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের মাঝে উপহারসামগ্রী প্রদান করেন মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। এর আগে জিওসি মু্ক্িতযুদ্ধে শহীদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রক্তঋণ-এ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।