পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতগামী বাংলাদেশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, c (৫ বছরের নিচে), পঙ্গু, ক্যান্সার রোগী ও প্রতিবন্ধী পাসপোর্টযাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে বন্দর টার্মিনাল ফী আদায় করা হচ্ছে। ফলে গোটা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা উওেজনা। টার্মিনাল শুরু হওয়ার পর থেকে আজও পর্যন্ত এসব ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোন টার্মিনাল ফী আদায় করা হচ্ছিল না।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস সদ্য যোগদান করেই এ নির্দেশনা জারি করেন। যেখানে সরকার ভারতগামী এসব যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমন কর ৫০০ টাকা সম্পূর্ন মওকুফ করেছেন। সেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব যাত্রীদের ক্ষেত্রে কিভাবে টার্মিনাল ফী ৪১ টাকা জোর করে আদায় করছেন তা অনেকেরই বোধগম্য নয়। এ ধরনের নির্দেশনা বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিনে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থাপিত সোনালী ব্যাংক বুথে যাত্রী প্রতি ৪১ টাকা থেকে ৪৫ টাকা হারে টার্মিনাল ফি আদায় করতে দেখা যায়। যেখানে পাঁচ বছরের নিচে শিশু, ক্যানসার রোগী, প্রতিবন্ধী, পঙ্গু ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত ভ্রমণে বন্দরের ফি মওকুফ ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বন্দর টার্মিনাল ব্যবহার করে প্রতিদিন ৫/৬ হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করছে। এর মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী চিকিৎসার জন্য ভারত যান। ভারতীয় যাত্রীরা যারা বাংলাদেশে আসেন ভারত সরকার তাদের কাছ থেকে কোনো ভ্রমণ কর আদায় করে না। কিন্তু বাংলাদেশিরা ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ সরকার যাত্রী প্রতি ৫০০ টাকা ভ্রমন কর ও বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষর টার্মিনাল ফী ৪০ দশমিক ৭০ টাকা হারে আদায় করে থাকেন। তবে ৫ বছরের নিচে শিশু, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ সরকার ভ্রমণ কর মওকুফ করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে বন্দর কর বাধ্যতামূলক করেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক বুথ কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ মোট ৫০০ টাকা ও বন্দর টার্মিনাল ফি বাবদ ৪১ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই ৫ বছরের নিচে শিশু, ক্যান্সার রোগী, পঙ্গু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী পাসপোর্ট যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর মওকুফ ছিল। চলতি সপ্তাহে বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব যাত্রীদের কাছ থেকে টার্মিনাল ফী ৪০ দশমিক ৭০ টাকা হারে আদায়ের নির্দেশনা দেন তাদের। আড়াই বছরের মত চালু হয়েছে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। সেখানে কেবল টয়লেট সুবিধা ছাড়া প্রতিশ্রæত কোনো সেবাই চালু করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ টার্মিনাল ফি বেড়েই চলেছে। ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশে বেনাপোল বন্দরে আসা ক্যান্সার ও প্রতিবন্ধী যাত্রীরা বলেন, এর আগে তারা যখন ভারতে গেছেন তাদের কাছ থেকে টার্মিনাল ফী ও বিদেশ ভ্রমন কর দিতে হয়নি কিন্তু এখন বন্দর কর্তৃপক্ষ তা আদায় করছেন। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে পুনরায় বিবেচনার আহŸান জানান ক্যান্সার রোগী, পঙ্গু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
খুলনা থেকে আসা রেশমা বেগম। তিনি একজন ক্যান্সার রোগী। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য আমার সহায়সম্বল সব শেষ। এখন লোকের কাছ থেকে হাত পেতে যা পাই তাই নিয়ে ভারত যাই। দীর্ঘ ৫ বছর যাচ্ছি ভারতে চিকিৎসার জন্য। ভ্রমণ করসহ কোনো খরচ আমরা দেই না। আজ হঠাৎ বন্দরের গেটে দাঁড়ানো আনসার সদস্য বন্দর টার্মিনাল ফি ছাড়া আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিলেন না। পরিশেষে ৪৫ টাকা দিয়ে বন্দর কর কেটে ভারত যাচ্ছি।
এদিকে বন্দরের টার্মিনাল ফি যাত্রীপ্রতি ৪০ দশমিক ৭০ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও টার্মিনাল ফি বাবদ জোর করে অতিরিক্ত ৪৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট ট্যাক্স ছাড়াও বাড়তি আদায় হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এ অর্থ ব্যাংক ও বন্দরের কিছু অসাধু ব্যক্তির পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস জানান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে টার্মিনাল ফি নতুন করে চালু করা হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের যাত্রীদের টার্মিনাল ফি বাবদ ৪০ দশমিক ৭০ টাকা হারে পরিশোধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।