পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কমেছে। এ সময় এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। এই চার মাসে প্রায় ৩৩ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। তারাই রয়েছে এডিপি বাস্তবায়নের শীর্ষে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চার মাসে একটাকাও খরচ করতে পারেনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন এ চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনের ধাক্কায় অর্থ খরচ বাড়লেও শতাংশের দিক থেকে বাস্তবায়ন কমেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অবশ্যই নির্বাচনি প্রভাব থাকতে পারে। কেননা, এ সময়ে সবাই জাতীয় নির্বাচনকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজরদারি কম হচ্ছে। অন্যদিকে, নির্বাচনি প্রচারনা মাথায় রেখে নতুন প্রকল্পগুলোতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কম হচ্ছে। এ জন্য শতাংশের দিক থেকে এডিপি বাস্তবায়ন কম হচ্ছে।
নির্বাচন সামনে রেখে নতুন প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমও। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এডিপি’র আকার বাড়ছে। সেই হিসাবে খরচ বাড়তে পারে। যেহেতু এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়েনি, তাই এখানে নির্বাচনি প্রভাব সেভাবে বলা যাচ্ছে না। বরং এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়লে বলা যেত এতে নির্বাচনি প্রভাব রয়েছে। বরং সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনকে ঘিরে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, যেখানে নির্বাচনি প্রভাব রয়েছে।
যদিও আইএমইডি সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এডিপি বাস্তবায়নে নির্বাচনের প্রভাবের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, টাকার অঙ্কে তো বাস্তবায়ন বেড়েছে। এখানও নির্বাচনি বছরের কোনো প্রভাব পড়েনি।
আইএমইডি বলেছে, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত চার মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ২৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে, অর্থাৎ চার মাসে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে টাকার অঙ্কে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় খরচ বেড়েছে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। তবে শতাংশের হিসাবে তা কমেছে প্রায় শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।