পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আবারও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকের সাথে সোমবার তার বেইলী রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, এ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুলিশ এখনো দলীয়বাহিনীর মতো আচরন করছে। আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তার জন্য একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বৈঠকটি হয়। পৌনে এক ঘণ্টা তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, তারা মাঝে-মধ্যে দেখা করতে আসেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন আমরা কীভাবে দেখছি এবং কী ধরনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে, হাই কমিশনার তা জানতে চেয়েছেন। জবাবে বলেছি, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইছি। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। পুলিশ এখনো দলীয়বাহিনীর মতো আচরন করছে। তাই এখনও আমরা একই দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছি। সেই লক্ষে সাত দফা দাবিও দিয়েছি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, নিরপেক্ষ সরকার মানেই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কোনও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যদি রেফারির ভূমিকা পালন করেন, পুলিশ প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে তো ফেয়ার ইলেকশন হয় না। তিনি বলেন, প্রশাসন এবং পুলিশের ভুমিকা পক্ষপাতমূলক। এখনও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি।
ড. কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বর্তমান আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তবে আন্দোলন মানে এই না যে ভাঙচুর হবে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইইউভুক্ত দেশগুলোসহ ২০ থেকে ২৫টি দেশের কূটনীতিক ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেদিন জোটের সাত দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের ভাবনার বিষয়টি কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।