পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি বা তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারধারণ করতে পারবে না। এমন বিধান রেখে বীমা আইন, ২০১০-এর ১৪৬ ধারা অনুসারে বিধিমালা জারি করতে যাচ্ছে সরকার। ‘বীমাকারীর মূলধন ও শেয়ারধারণ বিধিমালা ২০১৬’ শিরোনামে বিধিমালাটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং পাওয়ার পর শিগগিরই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। বীমা খাতে পারিবারিক আধিপত্য ও পরিচালকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
কোনো বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক আইনে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত শেয়ার সময়মতো ছেড়ে দিতে ব্যর্থ হলে সরকার ওই শেয়ারধারণ করবে। বিধিমালা অনুসারে একই পরিবারের কোনো ব্যক্তি বা সদস্য অথবা কোম্পানি একক, যৌথ কিংবা উভয়ভাবে কোনো বীমা কোম্পানির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবেন না। এছাড়া উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ২ শতাংশের নিচে হওয়া যাবে না। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী বিধিমালাটি চ‚ড়ান্ত করা হচ্ছে, যা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এটা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। বছর পাঁচেক আগেও দেশের বীমা খাত পরিচালিত হতো ‘১৯৩৮ সালের ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট’ দ্বারা। এ আইনের আওতায় বীমা খাতের দেখভাল করত বীমা অধিদপ্তর। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত অনুসারে ঋণখেলাপি কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি বীমাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-পরিচালক হতে পারবেন না। উদ্যোক্তা-পরিচালককে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের অর্থ পরিশোধের সময় শপথনামা বা ঘোষণাপত্র দিতে হবে যে, তিনি অন্য কোনো ব্যক্তির নমিনি হিসেবে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে শেয়ার কিনছেন না অথবা এর আগে তিনি অন্য কোনো ব্যক্তির নমিনি হিসেবে কিংবা অন্য কারো নামে শেয়ার ধারণ করেননি।
শপথনামা বা ঘোষণায় দেয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণ হলে ওই ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সমুদয় শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিধি কার্যকর হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তি যদি নির্ধারিত শেয়ারের বেশি ধারণ করে থাকেন, তবে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে এ অতিরিক্ত শেয়ার পরিবারের সদস্য নন, এমন ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করে দিতে না পারলে সরকারকে তা জানাতে হবে। পরে সরকার বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সংস্থা ওই শেয়ার কিনে নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।