Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মহীন রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগিদের সাথে জোট করে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

আইএবি মিলনায়তনে পীর সাহেব চরমোনাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বড় দু’টি দলকে প্রত্যাখান করে দেশবাসী আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রতীখ হাতপাখাকে বিজয়ী করবে। ইসলামের হেফাযত প্রশ্নে ইসলামপন্থী সকল দলএক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজেই তাগুতের সংশ্রব ত্যাগ করে আগামীতে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মহীন রাজনীতির দলসমূহ স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশ বিশে^ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশসমূহের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। টিআইবি’র রিপোর্টে ৯৭ ভাগ মন্ত্রী-এমপি দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা সবসময়ে সন্ত্রাস লালন-পালন করে যাচ্ছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাদক কারবারীরা দেশকে অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। খুন-গুম, ধর্ষণসহ ঘুষ এখন কেই কেই অপরাধ মনে করে না। বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ রিজার্ভও ডাকাতি হয়, প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকার কয়লা উধাও হয়। ব্যাংকের অর্থ লুটপাটকারীরা রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের জন্য আদালত চলে একরকম, বিরোধীদের বেলায় আরেক রকম। এ অধপতনের মূল কারণ ধর্মহীন রাজনীতি। যে কারণে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে ধর্মহীন রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগী নীতিভ্রষ্ট কোন দলের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোটবদ্ধ হয়নি, ভবিষ্যতেও এসব দলের সাথে জোটবদ্ধ হবে না। তিনি বলেন, যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামকে প্রাধান্য দিবে ভবিষ্যতে কেবল তাদের সাথেই জোটবদ্ধ হবে ইসলামী আন্দোলন। তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ৩০০ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে। যদি কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভালো ফলাফল করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
গতকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রদান পরবর্তী এ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীও আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ ও মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ