Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হচ্ছে সৈয়দপুরে

চলছে জমি অধিগ্রহণের কাজ : জমির দামের ৩ গুণ দেয়া হবে ক্ষতিপূরণ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

 

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের আঞ্চলিক বিমানবন্দরে (রিজিওনাল হাব) রূপ দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণের ফিল্ড বুক তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের সীমানা চিহ্নিতকরণ ও স্থাপনার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) পরিমল কুমার সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় ভ‚মি অফিস এ কাজ তদারকি করছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সৈয়দপুরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন টার্মিনাল ভবন ও উড়োজাহাজ (এয়ারক্রাফট) ল্যান্ড করে রাখার জন্য দু’টি অতিরিক্ত অ্যাপ্রোন নির্মাণ কাজ চলছে। গত ১০ অক্টোবর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন দ্রæত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে। রানওয়ে বাড়ানোর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছে গত ৯ নভেম্বর থেকে । নতুন করে আরও ৮৫২ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরসভার অধীন ৫৭৯ দশমিক ৫০ একর এবং পার্বতীপুর উপজেলার অধীন ২৭৩ দশমিক ৪০ একর জমি। জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাথমিকভাবে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর বিমানবন্দরের ৬ হাজার ৮০০ ফুট রানওয়েকে সম্প্রসারণ করে ১২ হাজার ফুটে উন্নীত করা হবে। এতে এই বিমানবন্দরে সুপরিসর সব ধরণের উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারবে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) পরিমল কুমার সরকার জানান, প্রস্তাবিত জমির ফিল্ড বুক তৈরি হচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি ও স্থাপনা মালিকদের নামে নোটিশ জারি করা হবে। এরপর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে। জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ বর্তমান বাজার মূল্যের ৩ গুণ এবং স্থাপনার (বাসাবাড়ি) জন্য দেড় গুণ অর্থ দেয়া হবে। বর্তমানে বিমানবন্দরে রয়েছে ১৩৬ দশমিক ৫৯ একর জমি। সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৮৯ দশমিক ৪৯ একর। তিনি বলেন, রানওয়ে সম্প্রসারণে নেয়া উদ্যোগ সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। যা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমতুল্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। ২০২০ সালে দৃশ্যমান হবে আন্তর্জাতিকমানের সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দর বলেও তিনি জানান।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ভারতের কয়েকটি রাজ্যসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ, বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর উন্নীতকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত তৃতীয় ঋণ চুক্তির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমানবন্দর

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ