মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে এসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। স্থানীয় সাংবাদিকরা সকাল থেকেই ড. কামালের অপেক্ষায় ছিলেন। সাংবাদিকসহ উপস্থিতিদের ধারণা ছিল, ড. কামাল জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো বক্তব্য দিবেন।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানী মাজারে পুষ্পস্তপক অর্পণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল। এ সময় সাংবাদিকরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
প্রবীণ এ রাজনীতিক বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন মজলুম নেতা। তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ এখানে এসেছি। মাওলানা ভাসানী অনুপ্রেরণা হয়ে চিরদিন আমাদের মাঝে থাকবেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও বলেন, আজ এ বিষয়ে (নির্বাচন) কোনো মন্তব্য নয়।
এদিকে, ভাসানীর মৃত্যু দিবসে শনিবার ভোর থেকেই সন্তোষে জনতার ঢল নামে। তার অসংখ্য মুরিদান ও ভক্তদের কণ্ঠে যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাজার প্রাঙ্গণ।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন।
এরপর থেকেই মাজারে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা শুরু হয়। এতে ফুলে ফুলে ঢেকে যায় ভাসানীর মাজার।
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন পৃথকভাবে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, কাঙালি ভোজ, আলোচনা সভা
ইত্যাদি।