Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৫ গ্রামের ভরসা এক বাঁশের সাঁকো

নাজিরপুর (পিরোজপুর) থেকে উথান মন্ডল : | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:১৯ এএম

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাইনকাঠী-তারাবুনিয়া গ্রামে সাতকাছিমিয়া নদিতে ব্রিজ না থাকয় পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ দিনের দাবি সত্তে¡ও ব্রিজ না হওয়ায় এ এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকোতে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন। এলাকাবাসী জানান, বাইনকাঠী, তারাবুনিয়া ঘোপেরখাল উত্তর শাখারীকাঠী, ছিটকিবুনিয়া ও গিলাতলা গ্রামের বাসিন্দারা এ পথে নদিপারাপার হন। কিন্তু ব্রিজ না থাকায় যাতায়াতসহ মালামাল আনা-নেয়ার দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ এলাকার মানুষ জন নাজিরপুর উপজেলার অফিসসিয়াল কাজকর্ম করার জন্য এই বাঁশের সাকো পার হয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাতায়াত করেন।

এ ছাড়া তাদের কৃষিপণ্য সামগ্রী ও সাতকাছিমিয়া বাজারে এই বাঁশের সাকো পারাপার হয়েই আসতে হয়। বাঁশের সাকোর দুই প্রান্তে অর্থাৎ পূর্বপ্রান্তে উত্তর শাখারীকাঠী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সাথেই রয়েছে পরশমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোপেরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অপর প্রান্তে পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ে ছোট ছোট প্রায় আট শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন দুই বেলা এ সাকো পারাপার হয়। অনেক সময় এসব শিক্ষার্থীরা সাকো থেকে নদিতে পড়ে গিয়ে খাবার ও বইপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এই নদি পার হয়ে শিক্ষার্থীরা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয় ও নাজিরপুর কলেজে লেখাপড়া করে। শুস্ক মৌসুমে কখনো কখনো নদি হালকা শুকিয়ে গেলেও বিশেষ করে বর্ষাকালে বাঁশের সাকোটি ও পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদি পারাপার হতে হয়। পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার বৈরাগী জানান বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাকো থেকে নদিতে পড়ে গিয়ে প্রায়ই বই, খাতা নষ্ট হয়। স্যান্ডেল হারিয়ে যায়। মাঝে মাঝে সাকো ভেঙে গেলে আমার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয়। তরাবুয়িা গ্রামের একজন কৃষক অনু বৈরাগী বলেন, নদিতে ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষিপণ্য মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো পার হয়। নাজিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান এলজিডি অফিস থেকে প্রধাণ কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে ওই সাকো ব্রিজ করার জন্য কয়েক বার মেপে এসেছেন। কাজ বরাদ্দ হলে অবশ্যই সাকোটি ব্রিজে পরিণত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ