বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর-নিকলী উপজেলায় দুই হাজার ২৭১ কোটি ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এসব উন্নয়ন প্রকল্প কাজ সরকার দলীয় এমপি আফজাল হোসেনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী করা হয়েছে। এ জেলার উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সকল জেলায় ডিসিকে উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা চেয়ে চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর-নিকলী উপজেলায় বর্তমান সরকারের আমলে দুই হাজার ২৭১ কোটি ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও প্রাচীর নির্মাণ, ইউপি ভবন নির্মাণ, পল্লী বিদ্যু লাইন সংযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।
এমপি আফজাল হোসেনের পাঠানো তালিকায় বলা হয়, বাজিপুর উপজেলায় ৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। এবস উন্নয়ন প্রকল্প গুলো হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাহেরবালী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমী ভবন ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দিলালপুর আ: করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমী ভবন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫১ হাজার টাকায় করা হয়েছে। হিলচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার কাজ করা হয়। মেজর মান্নান আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ২ কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হয়। আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান ভবন ২ কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে। নাজিরুল ইসলাম কয়েজিয়েট স্কুলের নতুন একাডেমী ভবন সংস্কার, আসবাবপত্র ক্রয়, মাটি ভরাট এবং ল্যাব স্থাপনে ৪কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়।
নিকলী উপজেলায় ২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। এ প্রকল্প গুলো হচ্ছে, শহিদ স্বরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমী ভবন, নিকলী জিসি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, রসুলপুর হানিফ ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমী ভবন নির্মাণ, জারইতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমী ভবন নির্মাণ, কারার মাহতাব উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১২টি বিদ্যালয়ের কাজ করা হয়েছে। এছাড়া ১২৮টি ল্যাপটপ বিতরণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, ২৩৬টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যলায় সরকারি করা হয়েছে। নিকলী উপজেলায় তিনশত ৮৬কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। আর বাজিতপুরের ১৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার দলীয় এমপি আফজাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সর্ম্পকে জানতে চেয়েছে। এ তালিকা ডিসিরা দিয়েছে। আমি ও দিয়েছি। এ এলাকা থেকে আমি দলীয় মনোনয়ম ফরম তুলেছি। আশা করি আমি এবারো পাব।
নিকলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইনকিলাবকে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর-নিকলী উপজেলা দুই হাজার ২’শত ৭১ কোটি ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এমপি আফজাল হোসেনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী কর হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।