পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবন যেন আওয়ামী লীগের অফিসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন ভবনে সরকারী দলের লোকজনদের অবাধ বিচরণ ঘটছে। আওয়ামী লীগের নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশ প্রতিফলনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত নির্বাচন ভবনে অফিস করছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সাথে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। এরপর সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর ও ১৪ নভেম্বর দু’দফা আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যান বাবলা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। তার ভয়ে তটস্থ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী কর্মকর্তারা। গোপনে তথ্য না দিলে তাদেরকে সরকারবিরোধী লোক বলে অভিযুক্ত করে বদলিসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন তিনি। গত এক দেড় বছরে এধরণের অসংখ্য ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ নানাভাবে বাবলাদের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
বাবলা অনুমতি ছাড়া অবাধে যাতায়াত করেন কমিশনের কর্মকর্তাদের কক্ষে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইসি’র গোপনীয় তথ্য আওয়ামী লীগের অফিসে পাচার করে থাকেন। নির্বাচন কমিশন থেকেও তাকে দেয়া হয় বিশেষ ধরণের সুবিধা। তবে কমিশনের কিছু সরকারী সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা। আমাদের কাছে এধরণের অকাট্য তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
রিজভী আরো বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান এর সাথে বাবলার সম্পর্ক খুবই ভালো। এই ফরহাদ আহমেদ খান সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার আগের দিন পুলিশের আইজি-কে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেই চিঠি স্বাক্ষরকারী এই ফরহাদ আহমেদ খান। ফরহাদ ও বাবলা যৌথভাবে আজ্ঞাবহ ইসি ও সরকারে নানা ধরণের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদেরকে স্মার্ট পরিচয় পত্র নির্বাচন কমিশন থেকে সংগ্রহ করে দেন এই বাবলা।
রিজভী আরো বলেন, গত ৫ জানুয়ারীর মতো আরেকটি একতরফা ও প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সরকারী দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বর্তমান কমিশন। সরকার প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বিরোধী দলকে যেখানে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী প্রাপ্য কোন ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না, সেখানে সরকারী দলকে নানা ধরণের তথ্য দিয়ে সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।