Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুর এসিল্যান্ড অফিসের সাক্ষর জাল করে ২২ লাখ উত্তোলনের সময় আটক -১

প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সাবেক নাজির জাল সাক্ষর করে সরকারের বিভিন্ন খাতের ২২ লাখ টাকা উত্তোলনের সময় সোমবার বিকালে হাতে নাতে ধরা পড়েছেন। আটক নাজিরের নাম মহিউদ্দীন আহম্মেদ। তার বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামে। একাধিক দুর্নীতির কারণে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হলেও তিনিই অফিসের সব বিলের কাজ করে থাকেন।এ ঘটনায় মহেশপুর উপজেলা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মহেশপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে মহিউদ্দীন আহম্মেদ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি বিল নিয়ে ব্যাংকে আসেন। বিল ও চেকে এসি ল্যান্ডের সাক্ষর না মেলায় তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এ সময় সাবেক নাজির মহিউদ্দীন পালানোর চেষ্টা করলে লোকজনের সহায়তার তাকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে আরো ১৫ লাখ টাকার জাল বিল ভাউচারের চেক পাওয়া যায়। বিকালে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। ম্যানেজার নজরুল ইসলাম আরো জানান, মহিউদ্দীনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে এসি ল্যান্ড চৌধুরী রওশন ইসলামের সাক্ষর জাল প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া মহেশপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সিল ও সাক্ষরও জাল করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অভিযোগ পাওয়া গেছে মহেশপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দীন এই জালিয়াতি কারবার করে আসছেন। অফিস থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও তাকে দিয়েই মহেশপুর এসিল্যান্ড অফিস বিলের সব কাজ করে থাকেন। সুযোগ বুঝে মহিউদ্দীন প্রতি মাসেই ২/৩ লাখ টাকার ভুয়া বিল ভাউচার তুলে পকেটস্থ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একাধিকার দুর্নীতির দায়ে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে নাজির মহিউদ্দীনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপকর্মের কারণে বেশ কয়েকবার তিনি জেলেও গেছেন। বরখাস্ত হওয়ার পরও মহিউদ্দীন সরকারী কর্মকর্তাদের সাক্ষর জাল করে সরকারী টাকা তোলার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি বলেন, মহিউদ্দীনের সাথে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে। তাদেরও চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। মহেশপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিত কুমার জানান, মহিউদ্দীনের কাছে পাওয়া এসিল্যান্ডসহ কর্মচারীদের বেতন বিলের কাগজগুলোতে আমি সাক্ষর করেছি। বাকী বিলের কাগজগুলো আমার অফিসেই আসেনি। তিনি আরো জানান, আমি আগেই মহেশপুর এসিল্যন্ড অফিসকে সতর্ক করে বলেছি একজন বরখাস্তকৃত কর্মচারীর দিয়ে বিলের কাজ করা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু তার কথা এসিল্যন্ড অফিস আমলে নেয় নি। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, মহিউদ্দীন এখন তাদের হেফাজতে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মহেশপুর সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ